এডমিশন টিউন https://www.admissiontune.com/2021/06/how-to-income-in-online.html

অনলাইন ইনকাম ২০২১ঃ ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম

অনলাইন ইনকাম বর্তমান প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বে শীর্ষ আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠছে। আমরা বেশির ভাগ সময় ফেসবুক, ইউটিউবসহ নানা সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যয় করে থাকি। অন্যদিকে একই সময়ে বহু মানুষ অনলাইনে ইনকাম করার সাইট খুঁজে বের করে মাসে মোটামুটি ভালো পরিমাণে টাকা আয় করছে। তবে আগে আপনাকে অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি সম্পর্কে জানা থাকতে হবে। আপনি একমাসে যেমন লাখ টাকা অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন না একইভাবে ইনকাম ছাড়া অন্য অনুন্নত কাজে সময় ব্যয় করার চিন্তা কোনটাই সঠিক নয়। আপনাকে প্রথমে অনলাইনে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে জানতে হবে এবং পরে নিজের আগ্রহেই আপনি অনলাইনে আয় করা শুরু করবেন। অনলাইনে ইনকাম করার উপায় ২০২১ নিয়ে আমাদের এই আলোচনাটি খুব বিস্তারিত কিন্তু ফলপ্রসূ হবে। আপনি চাইলে সূচিপত্র দেখে আপনার পছন্দের অনলাইন ইনকাম অংশে চলে যেতে পারেন।  
অনলাইন ইনকাম ২০২১ঃ ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম

কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করবো? 

আমাদের মত অনেকেই ২০২১ সালে অনলাইনে ইনকাম করার উপায় খুঁজে থাকে। ফলে আপনাকে সবার থেকে আলাদা কিন্তু ভালো কোন ইনকাম সোর্স খুঁজে বের করতে হবে। আর আপনার হয়ে আমরা সেই কাজটি করে দিচ্ছি। সাথে আমরা কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করি সেই সম্পর্কে আপনাদেরকে অবগত করবো। অনলাইনে ইনকাম করার জন্য আপনার কিছু টুলস এবং ডিভাইসের প্রয়োজন হবে। যেমনঃ
  • মোবাইল
  • পিসি বা ল্যাপটপ
  • ইন্টারনেট সংযোগ
  • ছবি এডিটিং টুলস
  • ভয়েস টাইপিং টুলস
  • এবং অন্যান্য 
এগুলো থাকলে আপনি মোটামুটি ব্লগিং করে আয়, গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম, আর্টিকেল রাইটিং জব, ফেসবুক থেকে আয়, এড দেখে আয়, ক্যাপচা সলভ করে আয়, এফিলিয়েট মার্কেটিং ইত্যাদি বিভিন্ন মাধ্যম থেকে আয় করতে পারবেন। আমরা একে একে সবগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। 

অনলাইন ইনকাম করার ওয়েবসাইট

আপনারা প্রায়ই গুগলে অনলাইনে ইনকাম বাংলাদেশী সাইট খুঁজে থাকেন। আমরা শুরুতে বাংলাদেশি যেসব ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে ইনকাম করে নিশ্চিত পেমেন্ট পাবেন তাদের তালিকা দিবো। সাইটগুলো যাচাই বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আমরা অনেকগুলো ধাপ অনুসরণ করেছি। অনলাইন ইনকাম সংশ্লিষ্ট বহু সাইট থাকলেও মূল সমস্যা হলো ঠিক মত পেমেন্ট দেয় কিনা সেটি নিয়ে। তবে আমাদের শেয়ার করা সাইটগুলো সম্পর্কে পড়লেই বুঝতে পারবেন তাদের জনপ্রিয়তা এবং বিশ্বস্ততা। আমরা কোন ভুলভাল তথ্য দিয়ে আমাদের ভিজিটরদেরকে প্রতারিত করতে চাই না। তবে প্রথম ধাপে আমরা শুধুমাত্র বাংলাদেশি অথেনথিক ওয়েবসাইট সম্পর্কে তথ্য দিবো যেখান থেকে ভালো অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন। এখানে অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন এমাজন, আলিবাবাসহ বড় বড় ই-কমার্স জায়ান্টগুলোর কথা কেন বললাম না? আসলে এমাজন সম্পর্কে বলতে গেলে কয়েকশ পোস্ট লিখতে হবে। এমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং করা এতটা সহজ কাজ না। এমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং এর উপর আলাদা কোর্স-ই আছে। ফলে বুঝতেই পারছেন এটি কত বিস্তৃত একটি সিলেবাস। আমরা বাংলাদেশি যেসকল প্রতিষ্ঠানের কথা বলেছি সবগুলো যাচাই-বাছাই করেই তথ্য উপস্থাপন করেছি। 

অনলাইন ইনকাম সাইট ২০২১

অনলাইন ইনকাম করার জন্য বাংলাদেশে বেশ ভালোমানের ও জনপ্রিয় কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে। আপনি যে সাইটে ইনকাম করতে চান আগে দেখতে হবে সে সাইটে ভিজিটর কেমন? যদি উক্ত সাইটে তেমন ভিজিটর না থাকে তবে তারা আপনাকে ঠিকঠাক মত পেমেন্ট দিবে তার কোন গ্যারান্টি নেই। কারণ ভিজিটর না আসলে তাদেরই ইনকাম হবে না। আমরা সাইটের তালিকা দেওয়ার পাশাপাশি ভিজিটর সম্পর্কে উল্লেখ করবো। 
১. ফুডপান্ডা থেকে অনলাইন ইনকামঃ আপনি যদি রান্না ভালো পারেন তাহলে আপনার সৃজনশীলতা প্রকাশের সুযোগ দিচ্ছে ফুডপান্ডা। ফুডপান্ডায় কিভাবে রেজিস্ট্রেশন করে তা সংক্ষেপে বলে দিচ্ছি। আপনি এই লিংকে গেলে একটি রেজিস্ট্রেশন ফর্ম দেখতে পাবেন। এটা ঠিকঠাক মত পূরণ করার পর ফুডপান্ডা টিম আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। তবে রেজিস্ট্রেশনের আগে আপনার খাবার তালিকা ও মূল্য সম্বলিত একটি চার্ট তৈরি করে রাখতে হবে যেটা ফর্মের সাথে যুক্ত করে দিবেন। আর এখানে ফুড ডেলিভারি করার কোন ঝামেলা নেই। আপনার কোন অর্ডার আসলে ফুডপান্ডার রাইডাররা আপনার বাসায় সামনে আসবে এবং খাবার নিয়ে কাস্টমারের কাছে দিয়ে আসবে। আপনি যদি ১০০ টাকার খাবার বিক্রি করেন তাহলে ১০% অর্থাৎ ১০ টাকা ফুডপান্ডা কমিশন বাবদ রেখে দিবে। বর্তমানে ৫০টি জেলায় ফুডপান্ডার কার্যক্রম চলছে। আপনি চাইলে ঘরে বসেই খাবার বিক্রির মাধ্যমে মাসে প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন। কারণ আপনার দোকান ভাড়া নেই, কর্মচারীর খরচ নেই তার উপর ফুডপান্ডা মাত্র ১০% কমিশন নিচ্ছে। আপনি 
২. দারাজ থেকে অনলাইন ইনকামঃ অনলাইন থেকে কেনাকাটা করে কিন্তু দারাজের নাম জানে না এমন মানুষ পাওয়া যাবে না। দারাজে রেজিস্ট্রেশন করার মাধ্যমে আপনার ব্যবসা পরিচালনা করে অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে দারাজ বাংলাদেশের অন্যতম সেরা অনলাইন কেনাকাটার প্লাটফর্ম। তবে দারাজের ক্ষেত্রে কাস্টমারদের পক্ষ থেকে প্রচুর অভিযোগ এসে থাকি। এগুলো মূলত হয় সেখানে ব্যবসা করা কিছু অসাধু ব্যক্তিদের কারণে। আর এই সুযোগটি আপনি কাজে লাগাতে পারেন। যদি বিশ্বততার সাথে ব্যবসা করেন এবং কাস্টমারদের থেকে ভালো রিভিউ পান তাহলে আপনার বিক্রির পরিমাণ দিন দিন বাড়তেই থাকবে এবং দারাজ নিজ দায়িত্বে আপনার পণ্যটিকে সবার উপরে শো করাবে। দারাজের ওয়েবসাইটে গেলে একদম উপরেই রেজিস্ট্রেশন করার অপশন পাবেন। আমার মতে ফেসবুক পেজ না খুলে দারাজের মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম করাই ভালো। সেক্ষেত্রে কাস্টমার আপনার পণ্য অন্যদের সাথে তুলনা করে কেনার সুযোগ পাবে এবং আপনিও বিজনেস কোয়ালিটি বাড়াতে সক্ষম হবেন। তাছাড়া যেকোনো প্রশ্ন থাকলে দারাজ কাস্টমার কেয়ার নাম্বার +8809610096111 এ ফোন দিতে পারেন। 
তাছাড়া দারাজ এফিলিয়েট মার্কেটিং অনলাইনে ইনিকামের আরেকটি বড় পন্থা। তবে এর জন্য আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকতে হবে এবং সেখানে প্রচুর অর্গানিক ভিজিটর আসতে হবে। নতুবা আপনি দারাজের এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য যোগ্য হবেন না। এই সম্পর্কে দারাজ বাংলাদেশ ব্লগে বিস্তারিত পোস্ট পাবেন। 
৩. আজকের ডিল থেকে ইনকামঃ আজকের ডিলের মাধ্যমে ইনকাম করার খুব সহজ মনে হয়েছে আমার কাছে। কারণ এক্ষেত্রে আপনি যেকোনো পণ্যের উপর নিজের ইচ্ছা মত কমিশন নিতে পারবেন। ধরুন তাদের কোন থ্রি-পিস আপনি নিজের টাইমলাইনে শেয়ার দিয়ে বলবেন কেউ কিনতে চাইলে আপনাকে জানাতে। থ্রি-পিসের দাম যদি ১০০০ টাকা হয় কিন্তু আপনি ১৫০০ টাকায় বিক্রি করেন তাহলে বাকি ৫০০ টাকা পুরোটাই তারা আপনাকে দিবে। আর যার কাছেই বিক্রি করবেন অর্ডার আপনাকে দিতে হবে। এটা আমার কাছে অনলাইনে ইনকাম এর ভালো কৌশল মনে হয়েছে। এজন্য আপনাকে প্লে স্টোর থেকে তাদের এপসটি ডাউনলোড করতে হবে এবং সেখান থেকে একাউন্ট তৈরি করবেন। তাছাড়া অনলাইন ইনকাম নিয়ে প্রশ্ন থাকলে আজকের ডিল হটলাইন নাম্বার +09638000777 এ ফোন দিতে পারেন। আপনি দারাজের মত আজকের ডিলের মাধ্যমে আপনার ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন। 
৪. বিক্রয়ডটকম থেকে অনলাইন ইনকামঃ বিক্রয় ডট কমে ৬০ দিন পর্যন্ত আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপন দিয়ে রাখতে পারবেন। তবে এখানের বড় সুবিধা হলো তারা কোন কমিশন নেয় না আর বড় অসুবিধা হচ্ছে বিক্রয় ডট কম ফ্রিতে বিজ্ঞাপন দেওয়ার ক্ষেত্রে লিমিট আছে। আপনি মাসে কতটি ফ্রি বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন সেটির একটা চার্ট তাদের সাইটে গেলে পাবেন। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বিক্রয় ডট কম মোটরসাইকেল বিজ্ঞাপনগুলো বেশ কাজে দেয়। ফলে বুঝতেই পারছেন আপনার বড় কোন পণ্য বিক্রির ফ্রি বিজ্ঞাপন এখানে দিতে পারেন।  
৫. ১০ মিনিট স্কুল এফিলিয়েট থেকে ইনকামঃ টেন মিনিট স্কুল এফিলিয়েট প্রোগ্রামে আপনি একটি একাউন্ট খোলার পরে আপনার টেন মিনিট স্কুল এফিলিয়েট ড্যাশবোর্ডে প্রতিটি প্রোডাক্টের জন্য একটি ইউনিক লিংক বা URL দেওয়া হবে। এই লিংকটি আপনি বিভিন্ন জায়গায় শেয়ার করবেন এবং আপনার লিংকে ক্লিক করে যদি কেউ তাদের কোন প্রোডাক্ট কেনে, তাহলে আপনি ১৫%-২০% পর্যন্ত কমিশন লাভ করতে পারবেন।
কিন্তু এক্ষেত্রে শর্ত হচ্ছে আপনি টেন মিনিট স্কুল এফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েন করার প্রথম মাসের মধ্যে আপনাকে সর্বনিম্ন ১০০ টাকা আয় করতে হবে। এখানে রেজিস্ট্রেশনের ফর্মটি আমরা শেয়ার করছি না এবং আপনাকে অনুরোধ করবো তাদের ওয়েবসাইট বা অফিসিয়াল গ্রুপ থেকে ফর্মের লিংকটি নিতে। কারণ তারা গুগল ফর্মে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া পরিচালিত করে এবং এক্ষেত্রে আসল ফর্ম চেনার কোন উপায় থাকে না। টেন মিনিট স্কুল এফিলিয়েট হিসেবে কাজ করলে আপনি অনলাইন ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট পাবেন। 
৬. বহুব্রীহি এফিলিয়েট অনলাইন ইনকামঃ বহুব্রীহি অনলাইন কোর্স বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বহুব্রীহি অনলাইন কোর্স এফিলিয়েটদের ২০% কমিশন দিয়ে থাকে যা অন্যান্য ই-লার্নিং প্লাটফর্মের তুলনায় অনেক বেশি। কেউ যদি আপনার দেয়া রেফারেল লিংকে ক্লিক করে বহুব্রীহিতে প্রবেশ করে বহুব্রীহি তার ব্রাউজারে একটি কুকিজ সেভ করে রাখে। ৩০ দিনের মধ্যে সে কোনো কোর্স কিনলে বহুব্রীহি বুঝবে সেটি আপনার রেফারেন্সেই কেনা হয়েছে। অর্থাৎ আপনার লিংকে ক্লিক করে বহুব্রীহিতে কোন কোর্স না কিনলেও সেই একই ব্যক্তি যদি গুগলে সার্চ দিয়ে বহুব্রীহির সাইটে গিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে কোনো কোর্স কিনে, তাহলেও আপনি কমিশন পাবেন। উল্লেখ্য এমাজনের ক্ষেত্রে এই সময়কাল মাত্র ১ দিন। আপনার ব্যালেন্স ২০০০ টাকার বেশি হলেই বহুব্রীহি আপনাকে প্রতিমাসে দুইবার কমিশন প্রদান করবে। 
৭. প্রিয়শপ এফিলিয়েট অনলাইন ইনকামঃ প্রিয়শপ অপেক্ষাকৃত নতুন অনলাইন কেনাকাটা প্লাটফর্ম। তবে তাদের সার্ভিস এখন পর্যন্ত মোটামুটি ভালো বলা চলে। ফলে আপনি প্রিয়শপ এফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েন করলে নিরাশ হবেন না। তারা সাধারণত ৫% কমিশন দিয়ে থাকে। 
৮. BDSHOP এফিলিয়েট অনলাইন ইনকামঃ বিডি শপ ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে। তারা Starter - 3%, Silver - 4%, Gold - 5%, Diamond - 6% & Platinum - 7% এভাবে কমিশন প্রদান করে থাকে। বিডিশপের ভালো দিক হচ্ছে তারা ৩০ দিনের কুকিজ নীতি ফলো করে। অর্থাৎ আপনার রেফার করা লিংকে ক্লিক করে কোন পণ্য না কিনলেও সেই একই ব্যক্তি যদি গুগলে সার্চ দিয়ে বিডিশপের সাইটে গিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে কোনো পণ্য কিনে, তাহলেও আপনি কমিশন পাবেন। আপনি বিডিশপ এফিলিয়েট হয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। তারা প্রতি সপ্তাহে টাকা উত্তোলনের সুযোগ দিয়ে থাকে। 
৯. এক্সন হোস্ট এফিলিয়েট অনলাইন ইনকামঃ ExonHost বাংলাদেশের বেশ জনপ্রিয় ডোমেইন ও হোস্টিং প্রোভাইডার। তাদের সার্ভিস ভালো হওয়াতে আপনার লিংক থেকে সহজেই অনেকে হোস্টিং কিনে নিবে। তবে এক্সন হোস্ট ডোমেইনের উপর কোন এফিলিয়েট চালু করেনি। ফলে আপনি তাদের হোস্টিং রেফার করে সেখান থেকে ২০% কমিশন লাভ করতে পারেন। এক্সন হোস্টের শেয়ারড, রিসেলার ও প্রাইভেট তিন ধরণের হোস্টিং রয়েছে। 
১০. Xeon BD এফিলিয়েট অনলাইন ইনকামঃ Xeon বাংলাদেশের পুরাতন ও পরিচিত একটি হোস্টিং কোম্পানি। তাছাড়া তাদের হোস্টিং বড় বড় অনেক প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে। আপনি Xeon হোস্টের এফিলিয়েট হিসেবে কাজ করে মাসে ২০-৩৫% পর্যন্ত টাকা ইনকাম করতে পারবেন।  
পরবর্তীতে আরও বিশ্বস্ত সাইটের তথ্য পেলে যাচাই বাছাই করে সেগুলো দেওয়া হবে। আপডেট পেতে আপনার ইমেইল দিয়ে সাস্ক্রাইব করে রাখুন। 

স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম

বর্তমানে স্টুডেন্টদের অনলাইনে ইনকাম করার প্রতি জোক রয়েছে। তবে স্টুডেন্টদের ক্ষেত্রে আমি অনলাইন ইনকাম শব্দটি ব্যবহার না করে প্যাসিভ ইনকাম বলবো; এর কারণ বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করছি। প্যাসিভ ইনকাম হলো টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় যেখানে টাকা আয় করতে গেলে আপনাকে সবসময় সে কাজের পিছনে লেগে থাকতে হবে না একবার ইনভেস্ট করে সবসময় বসে বসে ইনকাম করাকে প্যাসিভ ইনকাম বলা হয়।
উদাহরণ দিলে বিষয়টি বুঝতে সুবিধা হবে। ধরুন আপনি একটি অফিসে চাকুরি করেন সেখানে আপনাকে নিয়মিত যেতে হবে এবং না গেলে তারা আপনাকে বেতন দিবে না সিম্পল। এইটাকে বলা হয় একটিভ ইনকাম। অনেক স্টুডেন্টকে দেখা যায় পড়াশোনার পাশাপাশি চাকুরি খুঁজেন। আমার মতে স্টুডেন্ট লাইফে চাকুরি করতে গেলে আপনাকে তাদের নিয়মের মধ্যে চলতে হবে ফলে আপনার পড়ার ক্ষতিও হতে পারে। অন্যদিকে আপনার কোন বন্ধু যদি উপরে মেনশন করা অনলাইন ইনকাম সাইট এর মাধ্যমে আয় করে সেটি হবে প্যাসিভ ইনকাম। এক্ষেত্রে তার ধরা বাধা নিয়মের মধ্যে কোন চাকুরি করতে হচ্ছে না পাশাপাশি সে পড়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাবে। পড়ার চাপ বেশি হলে সেই সময় তিনি এফিলিয়েটের কাজও বন্ধ রাখলেও কেউ কিছু বলবে না। 
তাছাড়া আরেকটি সমস্যা হলো যেকোনো ব্যবসা করতে হলে আপনার মূলধন প্রয়োজন। বেশিরভাগ স্টুডেন্টদের পক্ষে টাকা ম্যানেজ করে ব্যবসা করা সম্ভব হয়ে উঠে না। যদি আপনার ক্ষেত্রে মূলধন যোগাড় করা সম্ভব হয়ও একবার চিন্তা করুন আপনি যে ব্যবসা করবেন সেখানে আপনার প্রতিযোগী কারা? যদি দারাজ, ইভ্যালি, আজকের ডিল, চালডালের মত জায়ান্ট ই-কমার্স প্লাটফর্ম যে পণ্য বিক্রি করে আপনি সেইম পণ্য বিক্রি করতে চাইলে প্রতিদিন কতজন কিনবে? যেখানে বড় বড় ই-কমার্স প্লাটফর্মের উপর অনেকে ভরসা পায় না সেখানে আপনার থেকে কিনবে এমন কোন গ্যারান্টি নাই। 
ফলে স্টুডেন্টদের ক্ষেত্রে সরাসরি বিনিয়োগ না করে যেসব অনলাইন ইনকাম প্লাটফর্ম আছে তাদের দ্বারা ইনকাম জেনারেট করাকে কার্যকরি মনে করি। তবে আপনি যদি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলে পরামর্শ দিবো একটিভ ইনকাম করলেও এর সাথে প্যাসিভ ইনকামও করেন। অন্তত যেকোনো একটিতে আপনি সফল হবেন। কিন্তু এখানে একটি কথা থেকে যায় ইদানিং অনেকেই ফেসবুক পেজ খুলে বিনিয়োগ করছেন তাদের বেশিরভাগই সফল হতে পারছেন না। এরমূল কারণ ঠিকমত কাস্টমারদের ধরে রাখতে না পারা, আপনার পণ্য সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে না পারা ইত্যাদি বহু কারণ। এই সংক্রান্ত সঠিক গাইডলাইন পেতে চাইলে আপনি ফেসবুকে "Digital Skills for Bangladesh" লিখে সার্চ করে উক্ত গ্রুপে যুক্ত হয়ে যেতে পারেন। এখানে আপনার মত লাখ লাখ উদ্যোক্তা বিনামূল্যে গাইডলাইন পাচ্ছে। 

মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম

ইউটিউবে হাজার হাজার ভিডিও দেখবেন "অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে ২০২১" সেখানে যেমন প্রলোভন দেখায় সে পরিমাণ টাকা আয় করতে পারলে বিল গেটসও আপনার থেকে ঋণ নিত। আমরা আপনাকে মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ইনকাম করার উপায় বলার আগে প্রায় ৫০টি ওয়েবসাইট যারা এই সুযোগ দিচ্ছে তাদের তথ্য সংগ্রহ করে চার ধাপে ফিল্টার করেছি। 
  • গুগল এডসেন্স আছে কিনা + প্রতি মাসে কত লাখ ভিজিটর আসে
  • ফেসবুক পেইজ ও ইউটিউব চ্যানেলের কার্যক্রম 
  • গুগল ম্যাপসে ভেরিফাইড এড্রেস আছে কিনা অর্থাৎ তাদের ফিজিক্যাল উপস্থিতি বুঝার জন্য 
  • সেখান থেকে নিশ্চিত পেমেন্ট পেয়েছে এমন লোকজনের সাথে কথা বলে
এগুলো এইজন্য করেছি যাতে করে আমাদের পোস্ট পড়ার পর আপনি মূল্যবান সময় ব্যয় করে মাস শেষে একটি ভালো পেমেন্ট পান। লোভনীয় শিরোনাম দিয়ে আপনাকে আমাদের সাইটে এনে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে টাকা আয় করার ইচ্ছা আমাদের নেই। মনে রাখবেন মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম করার উপায় আর পিসি বা ল্যাপটপ দিয়ে উপায় একই। যেহেতু বেশিরভাগের পিসি বা ল্যাপটপ নেই কাজেই আমরা মোবাইলকে ফোকাস করে বলছি। মোবাইল দিয়ে ইনকামের শুরুতেই আমরা আর্টিকেল লিখে আয় করার উপায় সম্পর্কে বলবো। 

আর্টিকেল রাইটিং জব

টেকটিউনসঃ বাংলাদেশে প্রযুক্তি বিষয়ে সবচেয়ে বড় ওয়েবসাইট হলো টেকটিউনস। এখানে হাজার হাজার আর্টিকেল রাইটার কাজ করেন। ফলে বুঝতেই পারছেন তারা বিশ্বস্ত না হলে এতো জনপ্রিয়তা পেত না এবং হাজার খানেক আর্টিকেল রাইটার কাজ করতো না। যেহেতু এখানে প্রতিদিন অনেক মানুষ আর্টিকেল রাইটার হিসেবে কাজ করার জন্য টেকটিউনস একাউন্ট খুলে থাকে ফলে তারা কিছু শর্তারোপ করেছে। 
আপনাকে টেকটিউনস একাউন্ট খুলে প্রথমে ১০টি আর্টিকেল লিখতে হবে কিন্তু এই সকল আর্টিকেল লেখার জন্য আপনাকে তারা কোন টাকা দিবে না। তবে একাউন্টে জেমস (জেমসগুলোকে টাকায় কনভার্ট করা যাবে) জমা হবে। ১০টি আর্টিকেল প্রকাশের পর ট্রাস্টেড ব্যাজ প্রদান করার জন্য আপনি তাদের কাছে আবেদন করবেন। আপনার আবেদন এপ্রুভ হলে তারা আপনাকে পরবর্তী আর্টিকেলগুলোর জন্য টাকা দেওয়া শুরু করবে। আর্টিকেল প্রতি ৩০০-২৫০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। এটি নির্ভর করে আপনার আর্টিকেল কতজন অর্গানিক ভিজিটর (আপনি ১০০ বার পরলেও ১জন অর্গানিক ভিজিটর হিসেবে কাউন্ট করা হবে; যেহেতু হিসাবটি গুগল নিজে করে ফলে ছয়নয় করার সুযোগ নেই) পড়বেন। তাছাড়া আপনি অন্যের আর্টিকেলে কমেন্ট করে, প্রতিদিন সাইটে ভিজিট করে জেমস আয় করতে পারবেন। যা পরে টাকায় কনভার্ট করা যাবে। 
অর্ডিনারি আইটিঃ প্রযুক্তি বিষয়ক আরেকটি জনপ্রিয় ব্লগ অর্ডিনারি আইটি। আর্টিকেল লিখে আয় পেমেন্ট বিকাশে শিরোনামে অর্ডিনারি আইটি তাদের আর্টিকেল রাইটিং জব কার্যক্রম চালাচ্ছে। তাদের ইউটিউব চ্যানেলে গেলে পেমেন্ট পাওয়ার বিষয়ে ভিডিও দেখতে পাবেন। তাদের ফিজিক্যাল উপস্থিতি থাকার কারণে প্রতারিত হওয়ার কোন সুযোগ নেই। প্রথম মাসে ৩০০০ টাকা এবং ২য় মাস থেকে দক্ষতা অর্জন সাপেক্ষে তারা ৮,০০০ টাকা পর্যন্ত পেমেন্ট প্রদান করে থাকেন। এলিট রাইটার টিমে প্রমোশন পেলে আপনি মাসে সর্বোচ্চ ১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন। আপনি চূড়ান্ত নিয়োগ পাবার পর প্রতি ৩০ দিন পরপর অর্ডিনারি আইটি আর্টিকেল রাইটিং জব অথোরিটি পেমেন্ট প্রদান করে। আপনি পেমেন্ট বিকাশে নিতে পারবেন তাছাড়া সরাসরি তাদের অফিস থেকেও নিতে পারবেন। তবে কাজের শুরুতে তারা আপনাকে ০৭ দিনের ট্রেনিং দিবে এবং এটি বাবদ আপনাকে ১০৫০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে। এই ১০৫০ টাকা আপনি প্রথম মাসের পেমেন্টের সাথে ফেরত পাবেন। 
জেআইটিঃ এটি আর্টিকেল লিখে আয় করার আরেকটি  বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট। এখানে আপনি তাদের সিলেক্ট করা বিভিন্ন টপিকের উপর আর্টিকেল লিখতে পারবেন। এখানে আর্টিকেল লিখে আয় করার পরিমাণটা বেশ ভালো। ১০০০ ইউনিক ভিজিটর আপনার আর্টিকেল পড়লে আপনি ৫০০ টাকা পাবেন। অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় একজন আপনার আর্টিকেল ১০ বার পড়লেও ১জন ইউনিক ভিজিটর হিসেবে কাউন্ট করা হবে। আগেই বলেছি এই হিসাবটা ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ গুগলের কাছ থেকে পেয়ে থাকে ফলে ছয়নয় করার সুযোগ নেই। জেআইটিতে আর্টিকেল লিখে আয় করতে চাইলে আপনাকে প্রথমে তাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তাছাড়া আপনি কেউকে রেফার করলে তার আয়ের ২০% পেয়ে যাবেন। এখানে বিকাশে পেমেন্ট তোলার ক্ষেত্রে আপনার নীট ব্যালেন্স কমপক্ষে ২০০ টাকা হতে হবে। আর অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিয়ের ক্ষেত্রে ১০০ টাকা হলেই উত্তোলন করা যাবে। জেআইটিতে আপনি পড়াশোনা সংক্রান্ত একাডেমিক বিষয়গুলো নিয়েও লিখতে পারবেন।  
Cwork: এটি বাংলাদেশি আর্টিকেল রাইটিং এপস। এখানে নানা ধরনের লেখালেখির কাজ করতে পারবেন। এই এপসটি গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করার পরে একটি একাউন্ট তৈরি করবেন। আপনি যে বিষয়ে ভালো জানেন সে বিষয়ে সর্বনিম্ন ৩০০ শব্দের লেখা সাবমিট করতে পারবেন। আপনার লেখার মান অনুসারে আপনাকে টাকা পরিশোধ করবে। আপনার লেখা যত বড় এবং ভালো মানের হবে আপনি তত বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এখানে শিক্ষা, বিনোদন, ব্লগিং থেকে শুরু করে যেকোনো ধরণের লেখালেখির কাজ পাওয়া যায়। সাধারণত অনলাইন আয়, ব্লগিং আইডিয়া, বিনোদন ও গুরুত্বপূর্ণ নিউজ নিয়ে লিখলে এই এপস থেকে বেশি টাকা ইনকাম করা যায়। এই এপসটি বাংলাদেশি হওয়ার কারনে বাংলা ভাষায় সকল ধরনের লেখা সাবমিট করা যায়।
নোটঃ আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত যে মাত্র অল্প কিছু ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানিয়েছি। আসলে পোস্টের শুরুতে বেশ কয়েকটি সাইট রাখলেও সেখানে প্রতি মাসে প্রচুর অর্গানিক ভিজিটর না আসায় সাইটগুলো সরিয়ে ফেলেছি। কারণ কোন সাইটে ভিজিটর না আসলে তাদেরই ইনকাম হবে না আর তাদের ইনকাম না হলে আপনাকে পেমেন্ট দিবে এর কোন নিশ্চয়তা নেই। তবে আমাদের এই পোস্টে পরবর্তীতে ভালো আরও সাইট পেলে যুক্ত করা হবে। 

অনলাইন ইনকাম অ্যাপ

অনলাইন ইনকাম এপস নিয়ে ইউটিউবে প্রচুর পরিমাণে ভিডিও পাবেন। এগুলোর বেশিরভাগ ভিডিও ফেইক এবং আকর্ষণীয় টাইটেল দিয়ে আপনাকে চ্যানেলে নিয়ে যায়। আপনি প্লে স্টোরে ইনকাম করার যত এপস পাবেন সেগুলো দিয়ে যা ইনকাম করবেন তা একদম নিতান্ত। আপনি নিজেই একটু চিন্তা করুন কোন এপস কেন আপনাকে প্রতিদিন টাকা দিবে? যেখানে গুগলের মত জায়ান্ট তাদের গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলে ০.০১ ডলার দেয় (বাংলাদেশি সাইটের ক্ষেত্রে; এই রেট খুব কম সময় উঠানামা করে) সেখানে ওই সকল নাম সর্বস্ব এপস কেন এত টাকা দিবে? 
তবে কিছু এপস আছে যেখানে আপনি তাদের ভিডিও দেখলে বা বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলে টাকা দেয়। আমরা বেশ কয়েকটি এপসের উপর যাচাই বাছাই করে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২০ টাকার বেশি আয় হয়নি। আর এই ২০ টাকা আয় করতে আপনাকে ৬ ঘণ্টা ব্যয় করতে হবে। আমাদের পোস্টে ইনকাম করার যে সকল পন্থা শেয়ার করেছি সেখানে ৬ ঘণ্টা করে প্রতিদিন ব্যয় করলে আপনি অনলাইন ইনকাম অ্যাপ এর ৫০-২০০ গুণ বেশি টাকা আয় করতে পারবেন। ফলে আমাদের পরামর্শ থাকবে কোনভাবেই এই ধরণের ধান্দায় পা দিবেন না। 
তাছাড়া আমরা কিছু ক্যাপচা সলভ ওয়েবসাইট দেখেছি যেখানে আমি মোটামুটি পেমেন্ট পাবেন। গুগলে 2Captcha.com লিখে সার্চ করলে 2Captcha এর ওয়েবসাইট পাবেন। সেখানে রেজিস্ট্রেশন করলে আপনাকে ক্যাপচা সলভের ড্যাশবোর্ডে নিয়ে যাবে। সেখানে আপনাকে তাদের দেওয়া বিভিন্ন ক্যাপচা সলভ করতে হবে। ১০০০ ক্যাপচা সলভ করলে আপনাকে 0.76 ডলার দেওয়া হবে। এটিও পরিশ্রমের তুলনায় আমাদের কাছে খুব কম মনে হয়েছে। তবে এখানে প্রচুর মানুষ কাজ করে থাকে কাজেই আপনার পেমেন্ট ঠিকঠাক মত পাবেন। আমরা বলবো এসব এপস থেকে টাকা ইনকাম করার চিন্তা না করাই ভালো। তাছাড়া "এড দেখে টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট" এই জাতীয় প্রলোভন থেকে দূরে থাকবেন। অনলাইনে ইনকাম এত সহজ হলে সবাই এই পেশাতেই নিযুক্ত থাকত। 

গুগল এডসেন্স থেকে টাকা আয় 

গুগল এডসেন্স পৃথিবীর সব থেকে বড় এড নেটওয়ার্ক। উচ্চ ক্লিক রেট ও প্রচুর বিশ্বস্ত প্লাটফর্ম হওয়ায় বাংলাদেশসহ বিশ্বের বেশিরভাগ ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব চ্যানেল গুগল এডসেন্স দ্বারা মনিটাইজেশন করে থাকে। আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে গুগল এডসেন্স এর কাজ কি? গুগল এডসেন্সের কাজ হলো আপনার ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলে কোন ভিজিটর আসলে তার সামনে বিজ্ঞাপন দেখানো এবং সে বিজ্ঞাপন থেকে আয়ের একটি অংশ আপনাকে প্রদান করা। উল্লেখ্য আগে আপনাকে গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল পেতে হবে। এটি সংক্ষেপে বলার কোন সুযোগ নেই। পূর্বে আমরা ২১ দিনে গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় শিরোনামে একটি দীর্ঘ পোস্ট শেয়ার করেছি যা পড়ে অনেকেই এডসেন্স এপ্রুভাল পেয়েছে। গুগল এডসেন্স ইনকাম সম্পর্কে বলতে গেলে আপনি এখান থেকে বেশ ভালো পরিমাণে টাকা আয় করতে পারবেন। আপনার ওয়েবসাইটে প্রতিদিন ১০০০ হাজার অর্গানিক ভিজিটর থাকলে মাস শেষে মোটামুটি ১০০ ডলার বা তার বেশি টাকা পাবেন। তবে গুগল এডসেন্স এর বিকল্প হিসেবে ভালো ভালো কিছু এড নেটওয়ার্ক রয়েছে। কিন্তু সেগুলো পাওয়া গুগল এডসেন্সের থেকে কিছুটা কঠিন। তবে বাংলাদেশি কোন এড নেটওয়ার্ক ব্যবহার না করাই ভালো। তবে আপনাদেরকে আগেই বলেছি গুগল এডসেন্স পেতে হলে আপনার ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল থাকা লাগবে। ইউটিউব চ্যানেল তৈরির প্রক্রিয়া খুব সহজ ফ্রিতে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারবেন। কিন্তু যারা স্টুডেন্ট তারা কিভাবে ফ্রি ওয়েবসাইট খুলবেন টা নিয়ে পূর্বে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। 

ইউটিউব থেকে আয় 

সম্প্রতি YouTube এর নতুন আপডেটের ফলে ইউটিউব থেকে আয় করার উপায় ও নিয়ম খুব সহজ হয়ে গিয়েছে। আপনার চ্যানেলে ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার ও চার হাজার ঘণ্টা ওয়াচ টাইম হলে আপনি চ্যানেল মনিটাইজ করতে পারবেন। আগে নিয়ম ছিল ইউটিউব চ্যানেল খোলার ১ বছরের মধ্যে উক্ত শর্ত পূরণ করতে হবে। কিন্তু সম্প্রতি এটি পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে চ্যানেলে কপিরাইট যুক্ত কোন ভিডিও দিলে মনিটাইজেশন পাবেন না। উল্টো ভিডিওর মূল ক্রিয়েটর চাইলে রিপোর্ট করে ভিডিও নামিয়ে ফেলতে পারবে। ফলে আপনি ইউটিউবে আশার পরে এই সকল শর্ত মেনে চলবেন এবং নিয়মিত ভালো মানের কনটেন্ট শেয়ার করতে হবে। ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম নিয়ে আমরা পূর্বে পোস্ট করেছি। ইউটিউব কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের ক্ষেত্রে প্রধান যে সমস্যা লক্ষ্য করা যায় তা হলো ভিডিও ঠিকমত এসইও না করা। ওয়েবসাইটের মত ইউটিউব ভিডিও এসইও করতে হয় নতুবা ভিডিও সার্চ রেজাল্টে আসে না। এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো ইউটিউব ভিডিও হোম পেজে আনতে চাইলে প্রচুর পরিমাণে কমেন্টের প্রয়োজন হয়। আমাদের কেস স্টাডি থেকে এটা প্রমাণিত। 

ফেসবুক থেকে আয়

আপনি হয়ত ফেসবুক থেকে আয় করার উপায় খুঁজেছেন কিন্তু সঠিক গাইডলাইন পাচ্ছেন না। আসলে ফেসবুক থেকে টাকা আয় করার উপায় রয়েছে কিন্তু আমরা ফেসবুকে ফালতু কাজে বেশি সময় ব্যয় করে থাকি। আপনি আপনার ফেসবুক পেজ থেকে আয় করতে পারবেন যদি সেটি মনিটাইজ করেন। তবে ফেসবুকের নিজস্ব মনিটাইজেশন ব্যবস্থা রয়েছে। এক্ষেত্রে আপনাকে নিম্নোক্ত শর্তসমূহ মেনে চলতে হবেঃ
  • আপনার ফেসবুক পেজ মনিটাইজ করতে কমপক্ষে দশ হাজার লাইক বা ফলোয়ার থাকতে হবে। এটি হলো মূল শর্ত। আপনার পেইজে কেউ কমেন্ট ও রিয়েক্ট দিল কিনা সেটা মুখ্য বিষয় নয়। 
  • আপনার পেজে শেয়ার করা ভিডিওর ওয়াচ টাইম গড়ে ১ মিনিট হতে হবে। এটা ফেসবুক থেকে নির্ধারণ করা অনুপাত। ফলে চেষ্টা করবেন বড় ভিডিও শেয়ার করার। 
  • আপনার কনটেন্ট অবশ্যই ফেসবুকের নীতিমালা অনুযায়ী হতে হবে।
যেসব দেশের জন্য ফেসবুক বিজ্ঞাপন বিরতি তথা মনিটাইজেশন সিস্টেম চালু করেছে সেই দেশের তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে। ফলে আপনি ফেসবুক থেকে সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। তাছাড়া আপনার ফেসবুক গ্রপ থাকলে সেখানে এফিলিয়েট প্রোডাক্টগুলো প্রোমট করতে পারবেন। আসলে ফেসবুকে সময় নষ্ট না করে টাকা আয়ের বহু পন্থা অবলম্বন করা যায়।

এসইও শিখুন

যারা ইউটিউব বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আয় করতে চান সবাইকে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও শেখা উচিত। কেননা এটার মাধ্যমে আপনি শুরুতেই অনলাইনে ইনকাম সম্পর্কে ভালো একটি ধারণা পাবেন যা আপনাকে আরও কাজ করতে উৎসাহিত করবে। তাছাড়া আপনি যদি চান আপনার পণ্য বা আপনার সাইটের কোন লেখা গুগলের প্রথম পেইজে শো করুক তাহলে অবশ্যই আপনাকে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) সম্পর্কে জানতে হবে। তবে অনলাইনে ইনকামের এই আলোচনায় আমরা SEO কে ডিজিটাল মার্কেটের অন্তর্ভুক্ত করেছি। ফলে আপনি বুঝতে পারবেন, অনলাইনের অসংখ্য কাজের মধ্যে আপনাকে কি কাজ করা উচিত। আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে এসইও শিখতে কতদিন লাগে - আসলে এসইও শিখতে ১ মাস সময় লাগতে পারে যদি আপনি পর্যাপ্ত সময় দিতে পারেন। এসইও শিখে আপনি নিজের সাইটে কাজ করার পাশাপাশি এসইও টিউটোরিয়াল তৈরি করে প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন। বর্তমানে অনলাইনে ইনকাম করতে সবাই এসইও শিখতে চাচ্ছে। 
আপনি যদি শুধু সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) শিখতে পারেন আর এর পাশাপাশি ব্লগার বা ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট নিয়ে কিছু ধারণা নিতে পারেন, সে ক্ষেত্রে আপনার দ্বারা যা যা সম্ভব।   
১। যদি নিজের কোন কোম্পানি বা পণ্য না থাকে তাহলে ২০০০/৩০০০ টাকা খরচ করে বা ফ্রি ওয়েবসাইট বানিয়ে একটি অনলাইন দোকান দিন। বিভিন ই-কমার্স কোম্পানি বা ফ্যাশন হাউস বা যে কোন ছোট কোম্পানির সাথে চুক্তি করুন যে তাদের পণ্য আপনি আপনার ওয়েবসাইট বা অনলাইন দোকানের মাধ্যমে বিক্রি করে দিবেন আর তিনি আপনাকে কত পার্সেন্ট লাভ দিবেন? তারা ৫০০ টাকার দামের পণ্যের ক্ষেত্রে ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকা লাভ দিতে চাইবেন। আমাদের শেয়ার করা ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরির উপায় দেখে অনেকেই নিজের ব্যবসাকে আরও গতিশীল করেছে।
বর্তমান বাংলাদেশে অনলাইন ব্যবহারকারীর সংখ্যা কয়েক কোটি। আপনি যদি অনলাইন মার্কেটিং জানেন, প্রতি মাসে বা দিনে কয়েক কোটি লোকের মধ্যে কয়েক লাখ লোকের মাঝে আপনার পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন পৌঁছিয়ে দিতে পারেন আর যদি অন্তত প্রতি মাসে ১০০০ (এক হাজার) লোকের কাছে ১টি করে পণ্য বিক্রি করেন। তাহলে আপনার মাসিক সম্ভাব্য অনলাইন ইনকাম হবে...
যদি প্রতি পণ্যে ৫০ টাকা করে লাভ করেন।
১০০০ × ৫০ = ৫০০০০টাকা 
যদি ২৫টাকা করে লাভ করেন 
১০০০ × ২৫ = ২৫০০০টাকা 
যদি আমাদের দেশের ই-কমার্স কোম্পনিগুলোর সাথে চুক্তি করেন, সে ক্ষেত্রে তারাই নিজের লোক বা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ক্রেতার কাছে পণ্য পৌঁছিয়ে দিবে। সে ক্ষেত্রে আপনার কাজ শুধু অনলাইন মার্কেটিং।  

নারীদের জন্য অনলাইন ইনকাম 

সহজ লভ্য, প্রয়োজনীয়, সৌখিন বিশেষ করে নারীদের পণ্য, কারণ নারীরাই ঘরে বসে অনলাইন এ মার্কেট করতে বেশী পছন্দ করে, এক্ষেত্রে বাচ্চাদের আইটেম রাখতে পারেন। কেননা এটা কেনার দায়িত্ব নারীদেরই। বর্তমানে ছাদ বাগানের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। ফলে আপনি প্রথমে ফেসবুক পেজ বানিয়ে গাছের চারা, সার, আকর্ষণীয় টব, বীজ ইত্যাদি বিক্রি করতে পারেন। কারণ এখন পর্যন্ত এগুলোর চাহিদা অনুপাতে সরবারাহ কম। তাছাড়া জেলাভিত্তিক ব্যবসা করা আমার কাছে সবচেয়ে কার্যকর মনে হয়। আপনার বাড়ি যদি রাজশাহী হয় তবে আমের সিজনে আপনি আম বিক্রি করে প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন। কারণ ভালো আম কেনার জন্য মানুষ রাজশাহীর দিকেই ঝুঁকবে। অনলাইন ব্যবসা করতে হলে আপনাকে একজন কাস্টমার কি চায় সেটা সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে। তাছাড়া কোন জেলায় কোণ পণ্যের চাহিদা বেশি, কোন জেলার উদ্যোগতারা কোন পণ্য বেশি বিক্রি করছে এই বিষয়টা আপনি খুঁজে বের করতে পারেন। নিজের জেলা ছাড়াও অন্য জেলার জনপ্রিয় পণ্যগুলো নিয়ে আপনি কাজ করতে পারেন। 
তবে আগেই বলে নিচ্ছি এটি যেহেতু একটিভ ও প্যাসিভ ইনকাম তাই আপনাকে পর্যাপ্ত সময় ও ভালো কোয়ালিটির পণ্য সরবারাহ করতে হবে। আপনার সাথে যাদের প্রতিযোগিতা তাদের বিজনেস গ্যাপ খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। অর্থাৎ কোন পণ্যের অর্ডার তারা বেশি পাচ্ছে যেটা আপনি পাচ্ছেন না। এক্ষেত্রে আপনার মত একই জাতীয় পণ্য নিয়ে কাজ করে এমন প্রতিযোগীদেরকে আগে বের করুন। এই রকম আরও বিজনেসের আইডিয়া পেতে ফেসবুকে Digital Skills of Bangladesh লিখে সার্চ করুন। এই গ্রুপে প্রচুর বিজনেস ও অনলাইনে ইনকাম রিলেটেড আইডিয়া পাবেন এবং নতুন নতুন উদ্যোগতাদের সাথে পরিচিত হবে পারবেন। 
পণ্য বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আপনাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত। একটু ভেবে দেখুন যদি অতি চাহিদাপূর্ণ একটি পণ্য বাছাই করতে পারেন আর সেটা যদি কয়েক বছরের মধ্য অনলাইনে ১০ কোটি লোকের মধ্য থেক শুধু মাত্র ১ কোটি লোকের কাছে বিক্রি করতে পারেন তাহলে ১ টাকা করে লাভ করলে ১ কোটি টাকা লাভ করতে পারবেন। 
হাস্যকর মনে হচ্ছে কি? 
ভেবে দেখুন আমাদের শহরগুলোতে শত শত দোকান আছে। তাদের দোকানে তারাই যায় যারা ঐ এলাকাতে বাস করে। পক্ষান্তরে আপনার অনলাইন শপ বা দোকানের মাধ্যমে গোটা দেশে ব্যবসা করতে পারবেন। বর্তমান আমাদের ডাক বিভাগ ই-কমার্স পণ্য সরবরাহের দায়িত্ব নিয়েছে।

অনলাইন ইনকাম বই pdf

অনলাইনে ইনকাম সংক্রান্ত বহু বই আপনি পেয়ে থাকবেন। আমরা যাচাই বাছাই করে বেশ ভালো মানের কিছু বই আপনাদের সামনে উপস্থাপনা করছি যেগুলো থেকে অনলাইনে ইনকাম সম্পর্কে জানতে পারবেন। তবে বইগুলো পড়ার পাশাপাশি এগুলোকে কাজে লাগাতে হবে। এখানে টোটাল টি ভালো মানের বই শেয়ার করা হয়েছে। এগুলো আপনাকে প্যাসিভ ইনকাম সম্পর্কে বেশ ভালো ধারণা দিবে। তাছাড়া পরামর্শের জন্য আমাদের ফেসবুক পেজে নক দিতে পারেন। 
Online Earning PDF Bangla E-book - 01 by IT Bari
Online Earning PDF Bangla E-book - 02 by IT Bari
ফ্রিল্যান্সিং বই pdf download | প্যাসিভ ইনকাম বই pdf
ফ্রিল্যান্সার নাসিম এর বই pdf  | প্যাসিভ ইনকাম বই pdf
কোডিং শেখার বই pdf | html শেখার বই pdf
আউটসোর্সিং শেখার বই pdf download
SEO Bangla book PDF | SEO শেখার বই PDF

অনলাইনে ইনকাম সবাই করে না কেন? 


সবাই চাইবে না সব, সবাই পারবে না সব। কারণ আল্লাহ আমাদেরকে নানা মানসিকতা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। সবার মানসিকতা যদি একই হতো তাহলে সবাই ডাক্তার হতো ফলে অন্য সব সেক্টর ফাঁকা হয়ে যেতো। অথবা সবার মানসিকতা যদি একই হতো তাহলে সবাই রাজনীতিক হতো ফলে অন্য সব সেক্টর ফাঁকা হয়ে যেত। আর আপনি অনলাইনে ইনকাম করুন বা অফলাইনে আপনাকে পরিশ্রমী হতে হবে। শুধু একটি ফেসবুক পেইজ বানিয়ে রাখলেন আর ক্লায়েন্ট নক দিলে ৫-৬ ঘন্টা পর রিপ্লাই দিবেন তবে ইনকামের আশা ছেড়ে দিতে হবে। 
একটু ভাবুন 
১। আপনার যদি একটি ভালো মার্কেটে একটি দোকান থাকে আর শুধু ভালোমানেরে থ্রি পিস/শাড়ী/ নিয়ে মার্কেটিং করতে পারেন কত নারী কিনতে পারে? 
২। আপনার যদি একটি ভালো মার্কেটে একটি দোকান থাকে আর শুধু ভালোমানের নকশি কাঁথা নিয়ে মার্কেটিং করতে পারেন কত নারী কিনতে পারে? 
৩। আপনার যদি একটি ভালো মার্কেটে একটি দোকান থাকে আর শুধু ভালো মানেরে মধু নিয়ে মার্কেটিং করতে পারেন কত মানুষ কিনতে পারে? 
৪। আপনার যদি একটি ভালো মার্কেটে একটি দোকান থাকে আর শুধু ভালোমানেরে মোবাইল/ল্যাপ্টপ নিয়ে মার্কেটিং করতে পারেন কত মানুষ কিনতে পারে? 
৫। আপনার যদি একটি ভালো মার্কেটে একটি দোকান থাকে আর শুধু ভালোমানেরে বই নিয়ে মার্কেটিং করতে পারেন কত মানুষ কিনতে পারে? 
ভেবে দেখুন আমাদের শহরগুলোতে শত শত দোকান আছে। তাদের দোকানে তারাই যায় যারা ঐ এলাকাতে বাস করে। পক্ষান্তরে আপনার অনলাইন শপ বা দোকানের মাধ্যমে গোটা দেশে ব্যবসা করতে পারবেন। বর্তমান আমাদের ডাক বিভাগ ই-কমার্স পণ্য সরবরাহের দায়িত্ব নিয়েছে।

অনলাইনে কি সত্যিই আয় করা সম্ভব?

এই প্রশ্ন আপনাদের অনেকের মনে আসতে পারে। যদি এক কোথায় উত্তর দিতে হয় তাহলে বলবো হ্যাঁ অনলাইনে আয় করা সম্ভব। তবে অনলাইনে আয় করার জন্য আপনার ইচ্ছাশক্তি থাকতে হবে। কারণ অনলাইনে আয়ের জন্য আপনার একাডেমিক যোগ্যতা প্রয়োজন হয় না। আপনি পরিশ্রমী, সৎ ও উদ্যমী হলে আপনার জন্য অনলাইনে আয়ের হাজারও রাস্তা খোলা রয়েছে। তাছাড়া অনলাইনে আয় করতে চাইলে বিশ্বস্ততা খুব বড় একটি বিষয় এটি ছাড়া আপনি কোনভাবেই অনলাইন প্লাটফর্মে সফল হতে পারবেন না। তবে আমরা বারবার বলেছি কোন লোভনীয় শিরোনামের পোস্ট বা ভিডিও দেখে ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না। আপনি একবার চিন্তা করুন আপনি যদি একটা সাইট খুলেন পরে মাত্র ৩০ সেকেন্ড এসে কেউ বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবে আর আপনি টাকা দিবেন এমনটি কি সম্ভব? আরেকটি সম্পূরক কথা হচ্ছে এই সেক্টরে ইনকাম করার জন্য আপনাকে মোটামুটি ভালো ইংরেজি জানতে হবে। এটা আপনাকে অনেক হেল্প করবে। 

পর্যালোচনাঃ আপনার যদি পরিশ্রম করার মানসিকতা থাকে তাহলে ইনকাম করার হাজার উপায় আপনার সামনে আছে। অনলাইনে ইনকাম করার জন্য আপনাকে অবশ্যই সৎ ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে। প্রতারণার মাধ্যমে এই প্লাটফর্মে টিকে থাকা যায় না। আমরা আপনাকে সরাসরি ইনকাম করার বিভিন্ন সাইটের নাম ও তাদের তথ্য দিয়েছি। এখানে বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করেই আমরা আপনার সামনে উপস্থাপন করেছি। আশা করি কিভাবে অনলাইন ইনকাম করে এই বিষয়ে আপনারা সঠিক ধারণা পেয়েছেন। কোন প্রশ্ন থাকলে তা কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।
সবার সাথে শেয়ার করুন
এই পোস্টে 6 জন কমেন্ট করেছেন
  1. Amr site a chack kore dite parben kono somossa ase kina...12 din por reject kore dice low value content dekie... Site name
    https://panchmishali.com

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. ১. ভাইয়া আপনার প্রতিটা মেনুতে ৫টার কম পোস্ট। যেমনঃ আপনি অনলাইনে আয় মেনুতে মাত্র ১টা পোস্ট দিয়েছেন। প্রতিটি মেনুতে কমপক্ষে ৫টা পোস্ট থাকতে হবে নতুবা গুগল ভাবে আপনি কিছু হাইড করেছেন যেগুলো এডসেন্স পাওয়ার পর পাবলিশ করবেন।
      ২. আপনার অর্গানিক কিওয়ার্ড মাত্র ৩টি। যার ফলে গুগল থেকে ভিজিটর খুব কম আসে। ট্রাফিক কম থাকলে গুগল অনেক দিন রিভিউয়ের জন্য রেখে দেয়, ট্রাফিক বাড়ে কিনা দেখতে। এই জন্য আপনাকে ১২দিন পর রিপ্লাই দিয়েছে।
      ৩. আপনার ছবি, পোস্ট চেক করে দেখলাম কোন কপিরাইট ইস্যু নেই। কিছু ছবি এডিট করে দিয়েছেন এটা খুব বড় ইস্যু না।
      ৪. আপনি খুব সম্ভব এডসেন্সের আবেদন করার পর মাত্র দুইটা পোস্ট করেছেন। আবেদন চলমান থাকা অবস্থায় ইমেইল না পাওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন ১টা পোস্ট দেওয়া উচিত। আর আগের পোস্টগুলো নিশের সাথে রিলেটেড ফেসবুক গ্রুপে শেয়ার দেওয়া উচিত।
      ৫. আপনার সাইটে মোট ১১টি ব্রোকেন লিংক পাওয়া গেছে। আপনি "dr. link checker" টুলে আপনার সাইটের ব্রোকেন লিংকগুলো চেক করে সেগুলো রিমুভ বা অন্য পোস্টের লিংক দিয়ে রিপ্লেস করুন।
      ২-৩ দিনের মধ্যে এগুলোর সমাধান করে আবার এপ্লাই করুন আর ইমেইল না পাওয়া পর্যন্ত পোস্ট শেয়ার + নিউ পোস্ট পাবলিশ করতে থাকুন ইনশাল্লাহ পেয়ে যাবেন।

      মুছুন
  2. ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য। অনেক কিছু জানতে পারলাম। আমি ওয়েবসাইট সম্পর্কিত আর্টিকেল নিয়ে কিছু প্রশ্ন করতে চাই।

    উত্তরমুছুন
  3. ভাইয়া, আমি ৯ম শ্রেণির ছাত্র। শখের বসে ব্লগিং করি। আলহামদুলিল্লাহ অ্যাডসেন্স ও মোটামুটি ভিজিটর আসে। দয়া করে বলবেন, আমার কোন কোন দিকের প্রতি বেশি নজর দেওয়া উচিত? ও আমার সফলতার সম্ভাবনা কেমন।
    সাইটঃ onurag.com

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করেছি। খুব পরিশ্রম করে বিভিন্ন বিষয়ে লিখে থাকেন দেখেছি। এভাবে কাজ করে গেলে খুব দ্রুত সফল হতে পারবেন বলে আশা করছি। আপাতত সবই ভালো লেগেছে। আপনার জন্য কিছু পরামর্শ রইলঃ
      ১. আর্টিকেলের মাঝে পর্যাপ্ত পরিমাণ গ্যাপ দিবেন। আপনি খুব সম্ভবত মাইক্রোসফটে লিখে কিছু আর্টিকেল ব্লগারে পেস্ট করেছেন। line-height: 1.8em, font-size: 18px, font-family: Solaimanlipi, Sans-serif দিলে খুব চমৎকার লাগবে।
      ২. কিছু পোস্টের লিংকের মাঝে হাইফেন দিতে হবে যেমনঃ "https://www.onurag.com/2021/03/childhood%20of%20prophet%20muhammad.html". এখানে খেয়াল করুল হাইফেন না দেওয়ায় মাঝে '%20' চলে আসছে। তবে নতুন পোস্টে এই বিষয়টা সমাধান করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আসতে আসতে বাকি পোস্ট নতুন করে করুন যেহেতু ব্লগারে পারমালিংক চেঞ্জ করা যায় না।
      ৩. আপনার লেবেলগুলো ইংরেজিতে দিবেন তাহলে লিংক সুন্দর লাগবে এবং দুই শব্দের লেবেল হলে মাঝে হাইফেন দিবেন।
      ৪. Get Button Widget রিমুভ করে দিন। যেহেতু আপনার সাইটে কোন ফ্রিল্যান্সিং কাজ নেই ফলে এগুলো লাভে আসবে না। উল্টো ব্যবহৃত জাবাস্ক্রিপ্ট সাইটের স্পিডে প্রভাব ফেলবে।
      ৫. চেষ্টা করবেন বড় আর্টিকেল লেখার। সেক্ষেত্রে ভালো র‍্যাংক পাবেন।

      মুছুন
  4. খুব সুন্দর ও দরকারি একটি পোস্ট

    উত্তরমুছুন

এডমিশন টিউন কী?