এডমিশন টিউন https://www.admissiontune.com/2021/07/online-bank-account-kholar-niyom.html

অনলাইনে ইবিএল ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

অনলাইনে ব্যাংক একাউন্ট খোলা এখন সবার জন্য প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। বেশিরভাগ ব্যাংক এখন তাদের গ্রাহকদেরকে অনলাইন সার্ভিস দিতে চাচ্ছে। আপনারা অনেকে ইতোমধ্যে অনলাইনে ব্যাংক একাউন্ট খুলেছেন। আবার কেউ কেউ বাসায় বসে ব্যাংক একাউন্ট খোলার উপায় খুঁজছেন কিন্তু কোন ব্যাংকে account করবেন সেটি নিয়ে দ্বিধায় আছেন। আমরা পর্যায়ক্রমে যতগুলো ব্যাংক অনলাইনে account করার সুবিধা দিচ্ছে সেকসকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের একাউন্ট খোলার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করে যাবো। 

আজকে আমরা ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড অনলাইন ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করবো। এখানে আমরা ইস্টার্ন ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা, তাদের শর্তাদি সবকিছু নিয়ে আলোচনা করবো। যাতে করে একাউন্ট খোলার আগে আপনি যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তাছাড়া অন্যান্য ব্যাংকের ক্ষেত্রেও আমরা পোস্ট করবো।

ধাপ-০১: লিংকে প্রবেশ 

প্রথমেই আপনাকে ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (EBL) এর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। অনলাইনে ঘরে বসে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে এই লিংকে যান। এরপরে নিচের ছবির মতো একটি লেখা দেখতে পাবেন। এখানে Agree তে ক্লিক করতে হবে নাহলে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন না। 

Agree তে ক্লিক করার পর এমন উইন্ডো দেখতে পাবেন। এবার মূল কাজ শুরু করতে পারবেন। মূল প্রক্রিয়া শুরুর আগে আপনি কিছু কাগজ সামনে রাখতে পারেন যেমনঃ জাতীয় পরিচয়পত্র, আপনার ছবি, স্বাক্ষরের ছবি, নমিনির ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্র, সচল জিমেইল আইডি ও সিমকার্ড। এতে করে কাজ করা সহজ হবে।

ধাপ-০২: রেজিস্ট্রেশন   

এখান থেকে আপনার ব্যাংক একাউন্ট খোলার মূল কাজ শুরু হবে। কাজগুলো বুঝার সুবিধার্থে ছোট ছোট ভাগ করে নিম্নে দেওয়া হলোঃ 

প্রথমে আপনাকে আপনার পুরো নাম লিখতে হবে। নাম অবশ্যই আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের সাথে মিল রেখে লিখবেন। যদি জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল থাকে তবে সেটাই দিবেন (কারণ পরবর্তীতে কখনো জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করালে তখন প্রোফাইলে গিয়ে সহজেই আপনার নাম পরিবর্তন করতে পারবেন, যা পোস্টের শেষের দিকে জানতে পারবেন)।

এরপর আপনার সচল ইমেইল অ্যাড্রেসটি দিবেন। যে ইমেইল অ্যাড্রেস দিবেন সেটি যেন ফোনে লোগো ইন করা থাকে এবং আপনার নামের সাথে মিল থাকে। কারণ পরবর্তীতে এটি অনেক কাজে লাগবে। তারপরে আপনার ১১ ডিজিটের সচল ও নিবন্ধিত ফোন নম্বরটি দিবেন। আপনি যদি বাংলাদেশের বাইরে অবস্থান করেন তবে ফোন নম্বরের আগে কান্ট্রি কোড যুক্ত করে নিবেন। 

এখন ৪ ডিজিটের একটি পাসওয়ার্ড দেন। এক্ষেত্রে ১২৩৪, ৫৬৭৮ এমন সিরিয়ালের নম্বর না দিয়ে এলোমেলো নম্বর দিবেন। এরপরে Register বাটনে ক্লিক করুন। 

আরও পড়তে পারেনঃ

ধাপ-০৩: পিন সেট প্রক্রিয়া 

এই ধাপে আপনার মোবাইলে এবং ইমেইলে আসা পিন নম্বরটি দিবেন।দুই জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন পিন পাবেন। খেয়াল রাখবেন যেন একটির পিন নম্বর অন্যটার ঘরে বসিয়ে না দেন। 

ধাপ-০৪: লগ ইন করা 

এখন লগ ইন করার জন্য আপনার ইমেইল অথবা ফোন নম্বর যেকোনো একটি কাঙ্ক্ষিত জায়গায় দিন। পূর্বে দেওয়া আপনার পাসওয়ার্ডটি বসান। ব্যস এখন LOGIN লেখায় ক্লিক করুন। পরে ব্যাংকের কিছু শর্তাদি দেখাবে। Agree তে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে। 

ধাপ-০৫: অ্যাকাউন্টের ধরণ নির্বাচন 

এখানে আপনি দুই ধরণের ব্যাংক একাউন্ট দেখতে পাবেন। যেকোনো একটি সিলেক্ট করতে পারবেন।

১. Simplified ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সিলেক্ট করলে মাসে সর্বোচ্চ ১ লাখ পর্যন্ত বা এর কম পরিমাণ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। ধরেন যদি জানুয়ারির ১ তারিখে ১ লাখ টাকা তোলেন তবে বাকি দিনগুলোতে আর টাকা উত্তোলন করতে পারবেন না। 

২. Regular ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সিলেক্ট করলে মাসে ১ লাখ থেকে শুরু করে যেকোনো অ্যামাউন্টের অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন। চাইলে ১ লাখের নিচে বা উপরে যেকোনো পরিমাণ অর্থ তুলতে পারবেন। এখানে কোন লিমিট নেই। 

অ্যাকাউন্টের ধরণ নির্বাচন করা হয়ে গেলে ‘Save and Next’ এ ক্লিক করবেন। এখন আপনার ছবি তোলার ইনস্ট্রাকশন সম্বলিত একটি উইন্ডো আসবে। এটির Close বাটনে ক্লিক করে পরের ধাপে চলে যান। আপনি যদি আগে বিকাশ, রকেট বা কোন মোবাইল ব্যাংকিং এর অ্যাকাউন্টস খুলে থাকেন তবে ছবি উত্তোলন আপনার জন্য কোন ব্যাপার না। 

অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন শিক্ষার্থী, নারী বা অন্য পেশার জন্য কোন ধরণ ভালো। আসলে এই ধাপে যে টাইপ আছে এটা টাকা উত্তোলনের পরিমাণের উপর ভিত্তি করে। আর পেশার উপর ভিত্তি করে ১১ নম্বর ধাপে আছে। 

ধাপ-০৬: সরাসরি ছবি উত্তোলন

বিকাশ বা রকেট অ্যাকাউন্টস খোলার সময় ঠিক যেভাবে সরাসরি সেলফি তুলেছেন এখানে একই কাজ করতে হবে। আপনি প্রথমে START RECORDING এ কিক্ল করবেন। এরপরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্যামেরা অন হয়ে যাবে। এখন আপনাকে ২ বা ৩ বার চোখের পাতা নাড়াতে বলবে বা পলক ফেলতে বলবে। আলোর সামনে গিয়ে আস্তে ধীরে ২/৩ বার চোখ বন্ধ করবেন আবার খুলবেন। আপনার ছবি অটোমেটিক তোলা হয়ে যাবে।পরবর্তীতে CAPTURE IMAGE অপশনে ক্লিক করে যে ছবিটি পছন্দ সেটি সিলেক্ট করবেন। এটিই আপনার প্রোফাইল পিকচার হিসেবে মনোনীত হবে। মনে রাখবেন এখানে স্থির ছবি বা পূর্বে তোলা ছবি থেকে ছবি তুলে দেওয়া যাবে না।

ধাপ-০৮: জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি তোলা 

এই ধাপে আপনাকে NID কার্ডের সামনের ও পিছনের ছবি জমা দিতে হবে। আপনি চাইলে CAPTURE অপশন ব্যবহার করে সরাসরি ছবি তুলতে পারেন অথবা আগে তোলা কোন ছবি CHOOSE FILE অপশন সিলেক্ট করে জমা দিতে পারেন। তবে সরাসরি তোলার ক্ষেত্রে ছবি উঠানোর পরে ক্রপ করে (ছবির আশেপাশের দৃশ্যকে বাদ দেওয়া) নিবেন। ছবি যেন স্পষ্ট হয় এইদিকে খেয়াল রাখবেন। অনেক সময় এটা নিয়ে ঝামেলা হয়। 

ধাপ-০৯: জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর শনাক্তকরণ 

ব্যাংক একাউন্ট খোলার এই ধাপে আপনার সামনে আপনার NID কার্ডের নম্বরটি প্রদর্শন করবে এবং জানতে চাইবে এটি আপনার NID নম্বর কিনা। যদি আপনার NID নম্বর হয় তবে PROCEED এ ক্লিক করে সামনের ধাপে এগিয়ে যাবেন। আর আপনার NID নম্বরের সাথে না মিললে RETRY এ ক্লিক করবেন। RETRY এ ক্লিক করলে পুনরায় NID এর ছবি তুলে জমা দিতে হবে। এইজন্য পূর্বেই চেষ্টা করবেন NID এর ফ্রেশ ছবি জমা দেওয়ার। এর পরে আপনি কোন ব্রাঞ্চে অ্যাকাউন্টসটি খুলতে চান সেটি সিলেক্ট করবেন এবং কোন দেশ থেকে খুলেছেন সেটিও সিলেক্ট করবেন। এক্ষেত্রে নিকটবর্তী ব্রাঞ্চ দিলে ভালো কারণ আপনার অ্যাকাউন্টস সংশ্লিষ্ট সশরীরে যত কাজ আছে সব সিলেক্ট করা ব্রাঞ্চেই করতে হবে। 

ধাপ-১০: ব্যবহারকারীর তথ্য হালনাগাদ 

ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে এখানে নিজের সম্পর্কে বিশদ তথ্য দিতে হবে। এই তথ্যগুলোও আপনার NID কার্ডের সাথে মিল রেখে দিবেন। যাতে পরবর্তীতে কোন প্রকার সমস্যা না হয়। আপনার মা-বাবার নাম NID তে যেভাবে আছে ঠিক সেইভাবেই দিবেন। প্রথমে আপনার মায়ের নাম দিবেন (এটি আবশ্যক অংশ এবং ইংরেজিতে লিখতে হবে)। এরপর বাবার নাম দিবেন (এটি আবশ্যক অংশ এবং ইংরেজিতে লিখতে হবে)। তারপরের ধাপে আপনি মহিলা হলে স্বামী, পুরুষ হলে স্ত্রীর নাম দিবেন (এটি আবশ্যক অংশ নয় এবং দিতে চাইলে ইংরেজিতে লিখতে হবে)। 

এরপর পাসপোর্ট নম্বর, অন্য আইডি (যেমনঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স), TIN নম্বর – এই তিনটি জিনিস দিতে পারেন। এগুলো অবশ্যক না। তবে আপনি বাংলাদেশের বাইরে হলে অথবা বিদেশ থেকে টাকা লেনদেন করতে চাইলে পাসপোর্ট নম্বর দিতে পারেন। এখন আপনার বর্তমান ঠিকানা দিবেন। যদি বর্তমান আর স্থায়ী ঠিকানা একই হয় তবে Present and Permanent Address is same অপশনটিতে ক্লিক করবেন।অন্যথায় স্থায়ী ঠিকানা নির্দিষ্ট ঘরে আলাদা করে লিখুন। অনেকেই যে কাজ করে NID কার্ডের ঠিকানাকে স্থায়ী ঠিকানা ধরে। কিন্তু এটি স্থায়ী ঠিকানা নয়। আপনি যে এলাকা থেকে নাগরিক সনদপত্র বা চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট আনবেন সেটিই আপনার স্থায়ী ঠিকানা। 

এখন আপনি একজনকে একাউন্টের নমিনি হিসেবে নির্বাচন করবেন এবং তার সাথে আপনার কী ধরণের সম্পর্ক সেটি নির্বাচন করবেন। আপনি মারা গেলে আপনার অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা নমিনি ছাড়া আর কেউ তুলতে পারবে না। কাজেই নমিনি হিসেবে বিশ্বস্ত কাউকে নির্বাচন করতে পারেন। 

ব্যাংক একাউন্ট তৈরির এই পর্যায়ে আপনার কাছে FTCA-এর তথ্য জানতে চাইবে। এটি শুধুমাত্র যারা আমেরিকায় বসে একাউন্ট তৈরি করবেন তাদের জন্য। ফলে বাংলাদেশি যে কেউ এটি স্কিপ করতে পারেন। 

এই পর্যায়ে আপনি আপনার পেশা, মাসে কত বার টাকা উত্তোলন করতে চান, আপনার মাসিক বেতন এবং একাউন্টের জন্য চেকবুক চান কিনা সেটা নিশ্চিত করবেন। 

এবার ব্যাংক একাউন্টের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ পূরণ করতে হবে। এখানে আপনি নমিনির ছবি (মোবাইলে তোলা বা ছবি থেকে মোবাইলে তোলা) ও জাতীয় পরিচয়পত্র সাবমিট করবেন। 

এখন আপনার Utility Bill সাবমিন করবেন। এটি ছয় মাসের বেশি পুরানো হওয়া যাবে না। এরপর একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে সেটির ছবি তুলে জমা দিবেন। এই স্বাক্ষরের সাথে আপনার NID এর স্বাক্ষর মিলতে হবে। 

এবার আপনার TIN এর কাগজের ছবি সাবমিট করতে হবে। তবে এটি বাধ্যতামূলক নয়। আপনার একাউন্ট যদি রেগুলার হয় তাহলে আপনার বেতনের স্বপক্ষে কোন কাগজ সাবমিট করতে হবে। এটা সত্যায়িত হলে ভালো হয়। একাউন্ট সব তৈরির কাজ প্রায় শেষ। নিচের Upload বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে এখন। 

ধাপ-১১: অ্যাকাউন্টের ধরণ ও ডেবিট/ ক্রেডিট কার্ড দাবি 

এই ধাপে তারা আপনাকে একটা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ধরণ নির্বাচন করতে বলবে। উপরের ৫ নং ধাপে টাকা উত্তোলনের উপর ভিত্তি করে আপনি একাউন্টের ধরণ নির্বাচন করেছেন। কিন্তু এই ধাপে আপনি সর্বনিম্ন কত টাকা জমা রাখতে হবে সেটার উপর ভিত্তি করে একাউন্টের ধরণ নির্বাচন করবেন। ড্রপ ডাউন মেনুর ঠিক নিচে “More Details” এ ক্লিক করে বিস্তারিত জানতে পারবেন। অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের ধরণের বিভিন্ন ন্যূনতম প্রাথমিক আমানতের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। দয়া করে নিচের তালিকাটি খেয়াল করুনঃ 

Eastern Bank পাওয়ার সাশ্রয়: ৫,০০০ টাকা

Eastern Bank ক্লাসিক সঞ্চয়: 10,000 টাকা

Eastern Bank ম্যাক্স সেভার: 15,000 টাকা

Eastern Bank প্রিমিয়াম সঞ্চয়: ১,০০,০০০ টাকা

Eastern Bank 50+ সঞ্চয়: 50,000 টাকা

Eastern Bank স্মার্ট মহিলাদের সঞ্চয়: 25,000 টাকা 

Eastern Bank প্ল্যাটিনাম প্লাস সঞ্চয়: 20,000 টাকা 

Eastern Bank ক্যাম্পাস অ্যাকাউন্ট: ১,০০০ টাকা

Eastern Bank ইন্সটা কারেন্ট এবং সেভিংস অ্যাকাউন্ট: ১,০০০ টাকা

আপনার বুঝতে অসুবিধা হলে ‘ইন্সটা কারেন্ট এবং সেভিংস অ্যাকাউন্ট’ খুলুন। তবে আরও জানার থাকলে নিচে কমেন্ট করে জানান। 

এরপরে আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে আপনি ডেবিট নিতে চান কিনা অথবা না নিতে চাইলে নো অপশনটা সিলেক্ট করবেন। তবে ডেবিট কার্ড নেওয়ার জন্য আপনাকে ওদের শর্তের আওতায় আসতে হবে। 

Eastern Bank ক্রেডিট কার্ড পেতে সাধারণ যোগ্যতা:

ব্যাংক একাউন্টে বেতনের সর্বনিম্ন 20,000 টাকা আসতে হবে। অর্থাৎ আপনার অফিসের বেতন ২০ হাজার বা তার অধিক হতে হবে। মোট পরিষেবার দৈর্ঘ্য একটানা 1 বছর হওয়া উচিত এবং নিম্নলিখিত হিসাবে বিবেচনা করা উচিত:

স্থায়ী কর্মীদের জন্য - বর্তমান সংস্থার সাথে 3 মাস 

চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের জন্য - বর্তমান সংস্থার সাথে 6 মাস এবং চুক্তির অনুমোদনের সময় মেয়াদ থাকতে হবে।তাছাড়া অন্যান্য কেউ নিতে চাইলে এফডির (Fixed Deposit) বিপরীতে সুরক্ষিত ক্রেডিট কার্ড পেতে পারেন।

ধাপ-১২: একাউন্টের কোন তথ্য সংশোধন করতে চাইলে করণীয় 

আপনার ব্যাংক একাউন্টে প্রদত্ত কোন তথ্য যদি ভুল হয়ে থাকে বা আপনি যদি কোন তথ্য পরিবর্তন করতে চান (আপনার এনআইডি অনুযায়ী) তবে “Start Again” এ ক্লিক করে আবার শুরু থেকে তথ্য দিতে হবে। শুধু নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে Update Name এ ক্লিক করে পরিবর্তন করতে পারবেন। 

ধাপ-১৩: ব্যবহারকারীর আইডি তৈরি 

এই পর্যায়ে ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহারকারীকে তার আইডি কার্ড তৈরি করতে হবে। এর জন্য প্রথমে তাকে Create Customer লেখায় ক্লিক করতে হবে। এই লেখাটির উপরের তার ছবি প্রদর্শিত হবে যেটি সে তুলেছিল। অতঃপর স্বয়ংক্রিয়ভাবে ৭ ডিজিটের একটি Customer ID বা CIF নম্বর দেখতে পাবে। এখন Create Account লেখায় ক্লিক করলেই তার আইডি তৈরি হয়ে যাবে। 

ধাপ-১৪: কনফার্মেশন ম্যাসেজ প্রাপ্তি 

আপনার স্ক্রিনের সামনে ব্যাংক একাউন্ট সফল ভাবে খোলার Congratulations লেখা ম্যাসেজ প্রদর্শিত হবে। অর্থাৎ আপনি সঠিকভাবে আপনার একাউন্টটি খুলতে পেরেছেন। এখন আপনার CIF/ Customer ID এবং একাউন্ট নম্বর দেখতে পাবেন। পরবর্তী সব কাজে এই নম্বরগুলো কাজে লাগবে। 

ধাপ-১৫: ‘SKYBANKING’ অ্যাপ ডাউনলোড 

আপনার ব্যাংক একাউন্ট তৈরির সব কাজ শেষ। এখন আপনি ব্যাংকের পরবর্তী কার্যক্রম সম্পন্ন করতে গুগল প্লে স্টোর থেকে "SKYBANKING" অ্যাপসটি ইনস্টল করে নিন। আপনার ব্যাংক একাউন্টের যাবতীয় সব তথ্য অনলাইনে এই অ্যাপসের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। 

পর্যালোচনাঃ ব্যাংক একাউন্ট খুলতে গিয়ে কোথাও সমস্যার সম্মুখীন হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন। আমরা দ্রুততার সাথে সকলের কমেন্টের রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করি। আমরা আপনাদেরকে বুঝানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। তাছাড়া আপনি ইস্টার্ন ব্যাংকের ফেসবুক পেইজে ম্যাসেজ দিতে পারবেন। তারা খুব দ্রুত এবং ধৈর্য্য সরকারে রিপ্লাই দিয়ে থাকেন। 
সবার সাথে শেয়ার করুন
এই পোস্টে 5 জন কমেন্ট করেছেন
  1. MD Salauddin Khan২৬ আগস্ট

    ৩ মাসের মধ্যে কি সকল কাগজ পাতি ব্যাংকে গিয়ে জমা দিতে হবে?

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. আপনি ক্রেডিট কার্ড নিতে চাইলে জমা দিতে হবে।

      মুছুন
  2. এখানে 10 নম্বর ধাপে সবশেষ নিচের দিকে বলা হয়েছে বেতনের স্বপক্ষে কাগজ সাবমিট করতে হবে। কিন্তু আমি তৃতীয় পক্ষ হিসেবে খুদকুঁড়ো চাউলের ব্যবসা করি।আমার কোন ট্রেড লাইসেন্স নেই এক্ষেত্রে আমি কোন কাগজ সাবমিট করতে পারি?ইবিএল এর একাউন্ট খোলো টা খুবই জরুরি, দয়া করে এর সমাধান জানালে খুবই উপকৃত হতাম।।ধন্যবাদ।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. আপনি এক্ষেত্রে আপনার আয়ের উৎস এবং মাসিক আয় এই দুইটা জিনিস একটা কাগজে লিখে প্রিন্ট করিয়ে নিন। যেকোনো প্রিন্টের দোকানে বললেই ওরা বুঝবে। এরপর সেটা সরকারি ১ম শ্রেণির কোন কর্মকর্তা দিয়ে সত্যায়িত (সেখানে উনি স্বাক্ষর ও সিল মেরে দিবেন) করাবেন। সেটা ব্যাংকে দেখালেই হবে।

      মুছুন

এডমিশন টিউন কী?