এডমিশন টিউন https://www.admissiontune.com/2021/07/google-adsense-approval-process.html

২১ দিনে গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায়

গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানার আগ্রহ কম বেশি সবার থাকে। বিশেষ করে যারা নতুন ব্লগিং করে তাদের জন্য এটি আলোচনার প্রধান বিষয়বস্তু হয়ে উঠে। গুগল এডসেন্স পেতে হলে ইউনিক কনটেন্টের বিকল্প নেই সেটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু এরপরেও অধিকাংশ ব্লগার ও আর্টিকেল রাইটাররা গুগল এডসেন্স পেতে ব্যর্থ হয়ে থাকেন। অনেকে সামান্য ভুলের কারণে দ্রুত গুগল এডসেন্স পান না। 
২১ দিনে গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায়
Adsense পৃথিবীর সবথেকে বড় এড নেটওয়ার্ক, তাছাড়া এটি সর্বজন বিশ্বস্ত সার্ভিস হওয়াতে সবাই গুগল এডসেন্স এর পিছনে ছুটে। উচ্চ ক্লিক রেট (বাংলাদেশি বিজ্ঞাপনী সংস্থার তুলনায়), স্বচ্ছ রিপোর্ট ও আরও বিশেষ সুযোগ সুবিধার কারণে গুগল এডসেন্স এর খ্যাতি রয়েছে পুরো বিশ্ব জুড়ে। আর এই কাজের শুরুতেই আপনার একটি এডসেন্স একাউন্ট থাকা লাগবে। যাদের মনে এই প্রশ্নটি আছে "কিভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলব" তারা আমাদের পূর্বের পোস্টটি পড়তে পারেন। আজকে আমরা মাত্র ২১ দিনে ব্লগে এডসেন্স পাওয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করবো। শুরুতেই ২১ দিনে আপনাকে কী কী কাজ করতে হবে তার একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা দেখানো হলো। এখানে আমরা কোন অপ্রয়োজনীয় তথ্য দিবো না। 
২১ দিনে গুগল এডসেন্স পেতে যা যা করবেন 
১ম দিনঃ সাইটের নিশ সিলেক্ট করা এবং ডোমেইন নেইম কেনা 
২য়-৪র্থ দিনঃ আপনার নিশ অনুযায়ী কিওয়ার্ড রিসার্চ করা। 
৫ম দিনঃ ব্লগারে একাউন্ট খোলা, ওয়েবসাইট সেটআপ + ফুল কাস্টমাটাইজেশন 
৬ষ্ঠ দিনঃ Contact Us ও Privacy Policy পেইজ তৈরি করা এবং কমপ্লিট অন পেইজ এসইও
৭ম-১০ম দিনঃ সর্বনিম্ন ১০০০ শব্দের ৬টি ইউনিক আর্টিকেল লেখা + পাবলিশ করা এবং গুগল + বিং সার্চ কনসোলে সাইট সাবমিট করা। 
১১ তম-১৮ তম দিনঃ সর্বনিম্ন ১০০০ শব্দের ১৬টি ইউনিক আর্টিকেল লেখা + পাবলিশ করা। 
১৯ তম দিনঃ আপনার নিশের সাথে মিল রেখে বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট শেয়ার করা। 
২০ তম দিনঃ ব্যাকলিংক তৈরি করা। 
২১ তম দিনঃ গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন এবং ইমেইল পাওয়ার অপেক্ষা করা 
২১-২৮ তম দিনঃ ইমেইল না পাওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন সর্বনিম্ন ১০০০ শব্দের একটি করে ইউনিক আর্টিকেল লেখা +পাবলিশ করা। 
২১ দিনে গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় উপরে ১০টি ভাগে সংক্ষেপে দেখানো হয়েছে। এই পর্যন্ত দেখে খুব সহজ মনে হলেও গুগল এডসেন্স পাওয়া অতটাও সহজ না। এখন এই ১০টি ধাপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে যাতে করে আপনি এই একটি পোস্ট পড়েই গুগল এডসেন্স পেতে পারেন। এখানে কোন কিছুই গোপন না রেখে গুগল এডসেন্স পাওয়ার সকল কৌশল বলে দেওয়া হবে। 

সাইটের নিশ সিলেক্ট করা

আপনি ঠিক কোন টপিকের উপর লেখালেখি করতে চান বা আপনার ব্লগকে কোন টপিকের উপর পরিচিত করতে চান সেটা বাছাই করাকেই নিশ বলে। নিশ সিলেক্টের আগে আপনাকে বাছাই করতে হবে আপনি কোন ভাষায় ব্লগিং করবেন। যদি বাংলায় করেন তাহলে একধরণের নিশ নিয়ে কাজ করতে হবে আর ইংরেজিতে করলে অন্য ধরণের নিশ নিয়ে কাজ করতে হবে। শুরুতেই আমরা ইংরেজি ব্লগিংয়ের নিশ নিয়ে কথা বলবো। ইংরেজি ব্লগিংয়ের জন্য যেসকল নিশ নিয়ে কাজ করলে গুগল এডসেন্স থেকে ভালো ইনকাম করবেন তার তালিকা দেওয়া হলোঃ 
  • আর্কিটেকচার ব্লগঃ বাসার ডিজাইন, রুমের ডিজাইন, ইন্টেরিওর, রুমের কালার, টাইলস, খরচপাতি ইত্যাদি তথ্যাবলি নিয়ে ব্লগিং করা। এই জাতীয় একটা সাইটকে দাড় করাতে পারলে গুগল এডসেন্স ছাড়াও অন্যান্য রিয়েল স্টেস্ট কোম্পানি থেকে স্পন্সর পাবেন। 
  • Amazon affiliate ব্লগঃ এটির মাধ্যমে আমাজনের বিভিন্ন প্রোডাক্টের রিভিউ লিখে সেগুলো কেনার লিংকযুক্ত করে দিতে হবে। তাছাড়া এই জাতীয় সাইটে গুগল এডসেন্স ছাড়াও amazon affiliate দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। 
  • ফুড ব্লগঃ বর্তমানে করে ফুড ব্লগগুলোতে প্রচুর ট্রাফিক এসে থাকে। বিশেষ করে ভারত থেকেই প্রচুর ট্রাফিক পাবেন। এই সাইটের মাধ্যমেও বড় বড় ক্যাফে বা রেস্টুরেন্টের স্পন্সর পাবেন। 
  • হেলথ ব্লগঃ যেকোনো ভাষায় সবসময় হেলথ সাইটের ট্রাফিক প্রচুর থাকে। কিন্তু এই জাতীয় সাইটের প্রতিযোগিতা অনেক বেশি হয়ে থাকে। 
  • জব সাইটঃ জব সাইট সর্বদা প্রচুর ট্রাফিক পাওয়া নিশ। ইংরেজিতে জব সাইট করতে চাইলে বাসায় বসে চাকরি করা যায় এমন বিজ্ঞাপন দিতে হবে।

জনপ্রিয় কিছু বাংলা নিশঃ

  • টেকনোলজি ব্লগঃ বর্তমানে প্রচুর সাইট আছে যারা টেক রিলেটেড ব্লগিং করছে। ফলে এখানে আপনাকে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে ভালো ভালো ইনফরমেশন দিতে হবে। এই ধরণের সাইটে গুগল এডসেন্স  থেকে প্রচুর ইনকাম হয়।
  • স্বাস্থ্য ব্লগঃ স্বাস্থ্য ব্লগিং করতে চাইলে এই সম্পর্কে আপনার জ্ঞান থাকা লাগবে। প্রচুর কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে। স্বাস্থ্য ব্লগকে র‍্যাংক করাতে কিছুটা সময়ের প্রয়োজন হয়। 
  • শিক্ষা ব্লগঃ এটি আপনার অবশ্যই জানা আছে বর্তমানে সবাই গুগলে যেকোনো বইয়ের পিডিএফ খুঁজে। ফলে আপনি শিক্ষা ব্লগের মাধ্যমে ফ্রি পিডিএফ, সার্কুলার, চাকরির খবর ইত্যাদি দিতে পারবেন। এই জাতীয় ব্লগে মাইক্রো নিশ নিয়ে কাজ করা যায় যার ফলে গুগল এডসেন্স হতে ভালো পরিমাণের ইনকাম হবে। 
নিশ সিলেক্টের ক্ষেত্রে ইনকামের দিকে মনোযোগ না দিয়ে আপনি যে নিশের উপর কাজ করতে পারবেন এবং ইউনিক কনটেন্ট লিখতে পারবেন এমন নিশ সিলেক্ট করাই শ্রেয়। 

টপ লেভেল ডোমেইন এড করা 

টপ লেভেল ডোমেইন বলতে .com, .net, .org, .info, .xyz এই জাতীয় এক্সটেনশনকে বুঝায়। ব্লগারে কোন ওয়েবসাইট খোলার সাথে সাথে সেখান থেকে একটি .blogspot যুক্ত সাবডোমেইন দিয়ে দেওয়া হয়। .blogspot ডোমেইন দিয়েও এডসেন্স পাবেন কিন্তু এই জাতীয় ফ্রি ডোমেইনে এডসেন্স নিতে হলে প্রচুর ট্রাফিক থাকা লাগে সাইটে, তাছাড়া পোস্ট সহজে র‍্যাংক করাতে পারবেন না। ফলে একটি টপ লেভেল ডোমেইন কিনে নিলেই ভালো। ডোমেইন কেনার সময় খেয়াল রাখবেন এটির নাম যেন সহজবোধ্য হয় এবং ১৫ শব্দের বেশি না হয়। টপ লেভেল ডোমেইনের মধ্যে আমরা .com ডোমেইন কিনতে পরামর্শ দিবো। এটি দিয়ে যেকোনো নিশের সাইট চালাতে পারবেন। 

কিওয়ার্ড রিসার্চ 

কিওয়ার্ড রিসার্চ ব্লগিংয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি করা ছাড়া আপনি গুগল এডসেন্স নিলেও বেশি ইনকাম করতে পারবেন না। কিওয়ার্ড রিসার্চ নিয়ে লিখতে গেলে সারাদিনেও শেষ হবে না। তবে যারা একদমই নতুন তাদেরকে একটি ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো। কিওয়ার্ড সাধারণত দুই ধরণের। এগুলো হলো শর্ট টেইল কিওয়ার্ড ও লং টেইল কিওয়ার্ড।একটি মাত্র শব্দকে ফোকাস করে আপনি কোন কনটেন্ট লিখলে সেটি আপনার জন্য শর্ট টেইল কিওয়ার্ড হিসেবে পরিগণিত হবে। যারা নতুন ব্লগিং করছেন তাদের প্রতি পরামর্শ থাকবে লং টেইল কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করতে। ধরুন আপনি গুগলে গরুর দাম লিখে সার্চ করলেন এখন যারা যারা এটিকে তাদের টাইটেল ও পোস্টে লং টেইল কিওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করেছে তাদের কনটেন্ট গুগল আপনাদেরকে দেখাবে। কিন্তু আপনি যদি শুধু গরু কিওয়ার্ড এর উপর ফোকাস করে কনটেন্ট লিখেন তবে র‍্যাংক করানো খুব মুশকিল। কারণ একটা কিওয়ার্ড লিখে কোন পোস্ট খুঁজলে বেশির ভাগ সময় উঁকিপিডিয়া ও বড় বড় সাইট চলে আসে। আর পোস্ট র‍্যাংক করাতে না পারলে গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম হবে না। এখন দেখুন কীভাবে সহজেই কিওয়ার্ড রিসার্চ করবেন 
ধরুন আপনি "জাতীয় পরিচয়পত্র" এই কিওয়ার্ডকে ফোকাস করে পোস্ট লিখতে চাচ্ছেন। এরজন্য প্রথমেই আপনাকে Google সার্চ ইঞ্জিনে যেতে হবে এবং আপনার পিসি বা ল্যাপটপে keyword everywhere ক্রোম এক্সটেনশন ইনস্টল করা থাকতে হবে। তাহলে সার্চ করার পর নিচের ছবির মতো দেখতে পারবেন। এখানে আমরা keyword everywhere এর ডাটার মাধ্যমে বুঝানোর চেষ্টা করছি। Keyword everywhere এর পাশে আপনারা related searches লেখার নিচে আরও কিছু ডাটা দেখতে পাচ্ছেন। 
২১ দিনে গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায়
এগুলো গুগলের ডাটা এবং ঠিক এই বিষয়গুলো গুগলে খোঁজা হয়। এগুলো থেকে আপনার টাইটেল বাছাই করতে হবে যেখানে "জাতীয় পরিচয়পত্র" শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। আপনি যেকোনো ৩/৪টা টাইটেল বাছাই করবেন যার সাথে আপনার পোস্টের মিল থাকবে। মনে রাখবেন এসব টুলসে যে ডাটা দেওয়া আছে এগুলো লিখেই গুগলে সার্চ করা হয়। আপনি যদি এমন কোন টাইটেল দেন যেটা দিয়ে কেউ সার্চ করে না তবে কোনোদিন গুগল এডসেন্স থেকে ভালো ইনকাম হবে না। তাছাড়া পর্যাপ্ত ভিজিটর না থাকলে গুগল এডসেন্স পাওয়ার পর এড লিমিট চলে আসতে পারে। এখন আপনার বাছাই করা টাইটেলগুলো থেকে তিনটি করে গুগল কিওয়ার্ড প্লানারে সার্চ করতে থাকুন আর সার্চ ভলিউম দেখুন। উল্লেখ গুগল কিওয়ার্ড প্লানার ব্যবহার করতে হলে আপনার গুগল এডসেন্স একাউন্ট থাকতে হবে। এখান থেকে যাদের সার্চ ভলিউম ৯ হাজার বা তার বেশি সেইসব কিওয়ার্ড সিলেক্ট করুন। এখন আপনার সিলেক্ট করা টাইটেলগুলো নোটপ্যাডে পেস্ট করুন। এরপরে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে গিয়ে "allintitle:আপনার বাছাই করা টাইটেল" - এভাবে সার্চ করুন। এবার দেখুন মোট কয়টি ফলাফল দেখা যায়। এভাবে করে বাছাই করা সব টাইটেল চেক করুন, আর হিসাব টুঁকে রাখেন। এবার টাইটেলকে ইংরজিতে লিখে নিন কারণ ব্লগারের পারমালিংক বাংলায় লেখা যায় না। এখন আগের মত allinurl:আপনার ইংরেজি টাইটেল - এভাবে সার্চ করুন। এটা থেকে প্রাপ্ত ফলাফলগুলো বুঝায় কয়জন ব্যক্তি এই ইংরেজি টাইটেল তাদের url এ ব্যবহার করেছে। এখানে যেসব টাইটেলের সার্চ রেজাল্ট ৩০-৫০ এর মধ্যে সেগুলো একদম লো কম্পিটিশন। নতুন ব্লগাররা এগুলো নিয়ে কাজ করলে ভালো ফল পাবেন। তবে ১৫০ এর উপরে সার্চ রেজাল্ট দেখায় এমন টাইটেল বা ইউআরএল নিয়ে কাজ করতে যাবেন না। এভাবে করে আপনার সব পোস্টের জন্য আগে থেকেই টাইটেল আর পোস্টের সংক্ষিপ্ত আইডিয়া নোট করে রাখুন। পরে শুধু এসইও ফ্রেন্ডলি পোস্ট লিখবেন, আর কোন বাড়তি ঝামেলা নাই। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। 

ব্লগারে একাউন্ট খোলা

কিভাবে গুগল ব্লগস্পটে একটি ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন তা জানতে এই পোস্টটি পড়তে পারেন। 

ব্লগার থিম নির্বাচন

ব্লগের জন্য অনেকেই চায় প্রচুর অপশন যুক্ত থিম নির্বাচন করতে। কিন্তু থিমে যত অপশন থাকবে তত জাবাস্ক্রিপ্ট ও সিএসএস ব্যবহৃত হবে। ফলে স্পিড কমে যাবে। এই জন্য মাথায় রাখতে আপনি যে থিম ব্যবহার করেন না কেন সেটি মোবাইল রেসপনিসিভ এবং এসইও ফ্রেন্ডলি  কিনা। তবে এর পাশাপাশি যেকোনো ব্লগার থিম এর ক্ষেত্রে আরও কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে 
১। এডসেন্স ফ্রেন্ডলিঃ মনে রাখবেন যথাযথ জায়গায় এড শো করাতে হবে। যার ফলে আপনার গুগল এডসেন্স থেকে ভালো ইনকাম হবে। 
২। কাস্টমাইজেশনঃ অনেক থিম রয়েছে যেগুলোকে সহজে কাস্টমাইজ করা যায় না। আপনি কোডিং সম্পর্কে ভালো না জানলে সেসকল থিম এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। 
৩। সাবমেনুঃ কিছু কিছু থিমে সাবমেনু এড করা যায় না। এই সকল থিম ব্যবহার না করাই ভালো। 
৪। কাস্টম ফন্টঃ বাংলা ভাষায় ব্লগিং করার ক্ষেত্রে কাস্টম ফন্ট এড করাটা খুব জরুরি। তবে অনেকে থিমের ভিতরে থাকা ফন্টের সাথে নিজের পছন্দের ফন্ট রিপ্লেস করে দেয় যেটা ফন্ট যুক্ত করার সঠিক পদ্ধতি না।
মোটামুটি এই কয়টি বিষয় মাথায় রাখলেই ভালো মানের একটি ব্লগার থিম সিলেক্ট করা যাবে। তবে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যদি কখনও থিমের ভিতরে কোন পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করতে যান অবশ্যই ব্যাকআপ নিয়ে কাজ করবেন। নতুবা সামান্য কোডিং এদিক সেদিক হলে আপনার পুরো শ্রম বৃথা যাবে। পাশাপাশি অল্প অল্প কাস্টমাইজেশন করে সেটি চেক করে ব্যাকআপ রেখে আবার বাকি কাজ করবেন। একসাথে সব করে শেষে চেক করাটা সুবিধাজনক নয়। 

গুরুত্বপূর্ণ পেইজ তৈরি করা

গুগল এডসেন্স পেতে হলে গুরুত্বপূর্ণ দুইটা পেইজ থাকা অবশ্যক। সেগুলো হলো Contact Us ও Privacy Policy পেইজ। এই দুইটি পেইজ ছাড়া আপনি কোনোভাবেই এডসেন্স যোগ্য হলেও এপ্রুভ পাবেন না। তাছাড়া অনেকে Disclaimer, Terms of condition, DMCA ইত্যাদি পেইজ রাখার কথা বলে থাকে। এগুলো অত্যাবশ্যকীয় না, আপনি চাইলে privacy policy পেইজের মধ্যেই একটা সেকশনে disclaimer ও terms and condition রাখতে পারেন। যারা অনলাইন কোর্স, কোন কিছু সেল করা এই জাতীয় কাজ করেন তবে Disclaimer পেইজটি আলাদাভাবে রাখলে ভালো। Contact Us ও Privacy Policy পেইজের পাশাপাশি সাথে About Us এবং Sitemap এই দুইটি পেইজ যুক্ত করলে ভালো। সাইটম্যাপ পেইজটি থাকলে গুগল বট আপনার নতুন পোস্ট সম্পর্কে সহজেই বুঝতে পারবে এবং গুগলে দ্রুত ইনডেক্স করাতে পারবেন। এই পেইজের নমুনা দেখতে আমাদের সাইটম্যাপ পেইজটি ভিজিট করুন। 

কমপ্লিট অন পেইজ এসইও

সাইটের জন্য যত ভালো থিম ব্যবহার করেন না কেন যথাযথভাবে এসইও করতে না পারলে আপনার সাইট গুগলে র‍্যাংক করবে না। যেকোনো সাইটের জন্য অন পেইজ এসইও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক এসইও এক্সপার্টরা বলে থাকেন সাইট র‍্যাংক করবে কিনা তার ৭০% নির্ভর করে অন পেইজ এসইও এর উপরে। অন পেইজ এসইও শিখতে হলে আগে আপনাকে থিমের কোডিং থেকে দেখতে হবে সব এসইও কোডিং থিমে যুক্ত আছে কিনা। যদি আপনি অনভিজ্ঞ হন এবং বুঝতে না পারেন তবে আমাদের এই কোডিংটি আপনার থিমে সেইভ করতে পারেন। এখানে সকল এসইও প্লাগইন যুক্ত করা আছে। তবে সেইভ করার আগে অবশ্যই থিমের ব্যাকআপ নিয়ে রাখবেন। এখানে যে যে কোডিং ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলোতে আপনার কোন পরিবর্তন করতে হবে না। আপনি সেটিংসে যা যা করবেন সেগুলো অটোমেটিক কোডিংয়ে যুক্ত হয়ে যাবে। 
ব্লগার সেটিংসে কোন অপশন অন রাখবেন এবং কোন অপশনটি অফ রাখবেন সেটি জানতে আমাদের গুগল ইনডেক্স পোস্টটি পড়তে পারেন। এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো কয়েকদিন পর পর কোন কারণ ছাড়াই সেটিংসে পরিবর্তন করতে যাবেন না। এতে করে গুগল বট আপনার আপডেটকৃত নতুন তথ্য সার্চ রেজাল্টে শো করাতে অনেক সময় নিবে। 

আর্টিকেল লেখার নিয়ম

যেকোনো ব্লগের প্রাণ হলো ভালোমানের কনটেন্ট। আপনি যদি আপনার ব্লগে ভিজিটর ধরে রাখতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই ভালো মানের কনটেন্ট লিখতে হবে। এটা ছাড়া আপনি ভবিষ্যতে এডসেন্স থেকে ভালো ইনকাম করতে পারবেন না, এমনকি আপনার সাইট গুগল এড নেটওয়ার্কের জন্য অনুমোদন নাও পেতে পারে। কনটেন্ট লেখার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। 
১। অবশ্যই ১০০% ইউনিক কনটেন্ট লিখতে হবে। অনেকে বিভিন্ন ম্যাগাজিন, বই থেকে লেখা তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেন মনে রাখবেন সেগুলো এসইও ফ্রেন্ডলি না। 
২। এডসেন্স পাওয়ার আগ পর্যন্ত ১০০০ শব্দের নিচে কনটেন্ট লেখা যাবে না। তবে ৭০০-১০০০ শব্দের কনটেন্ট র‍্যাংক করানো সহজ। ১০০০ শব্দের ২০-২৫টা ইউনিক কনটেন্ট হলেই গুগল এডসেন্স পাবেন। 
৩। লং টেইল কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করে সেই অনুযায়ী কনটেন্ট লিখতে হবে। আপনি যদি শুধু একটা শব্দের উপর কোন কনটেন্টকে র‍্যাংক করাতে চান তবে সহজেই পারবেন না।
৪। কনটেন্টের টাইটেলের সাথে লেখার মিল থাকতে হবে। নতুবা গুগল policy violence হিসেবে গণ্য করবে। টাইটেল ৬৫ অক্ষরের (শব্দ না) অধিক হওয়া যাবে না। সাধারণত ৪৫-৫৫ অক্ষরের মধ্যে টাইটেল হলে সুন্দর দেখায়। আপনি চাইলে আমাদের অক্ষর গণনার টুল ব্যবহার করতে পারেন। 
৫। কনটেন্টের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো কিওয়ার্ড। আপনি যে কিওয়ার্ডের উপর আপনার পোস্টটি র‍্যাংক করাতে চান কনটেন্টে সেটির শব্দ ঘনত্ব ২-৩%  এর মধ্যে হতে হবে। অনেকে ৪-৬% শব্দ ঘনত্ব রাখতে বলে যেটি মোটেও এসইও ঠিক না। কারণ একটা আর্টিকেল আপনি যে কিওয়ার্ডকে টার্গেট করে লিখবেন সেটি ছাড়াও অন্য কিওয়ার্ডের উপর সেটি গুগলে র‍্যাংক করবে। অর্থাৎ আপনি ১০০ শব্দের একটি আর্টিকেল লিখলে আপনার ফোকাস কিওয়ার্ড টাইটেল বাদে সর্বোচ্চ ২-৩ বার রাখতে হবে। 
৬। আপনার ফোকাস কিওয়ার্ডটিকে কনটেন্টের প্রথম ১০০ শব্দ এবং শেষের ১০০ শব্দের মধ্যে অবশ্যই রাখার চেষ্টা করবেন। এতে করে গুগল বট আপনার কিওয়ার্ড সম্পর্কে সহজেই বুঝতে পারবে। তাছাড়া পোস্টের অন্যান্য জায়গায়ও কিওয়ার্ড ঘনত্ব বজায় রেখে ব্যবহার করতে হবে।  
৭। কনটেন্ট লেখা শেষ হলে এরপরের গুরুত্বপূর্ণ অংশটি হলো ছবি যুক্ত করা এবং ছবি যুক্ত করার ক্ষেত্রে সবাই জানেন বেশি সাইজের বা রেজুলেশনের ছবি যুক্ত না করাই ভালো। অনেকেই ছবির সাইজ সম্পর্কে জানতে চান যদি আপনার ব্লগ ফুল প্রস্থযুক্ত হয় তাহলে ৮০০*৪৫০ পিক্সেলের ছবি ব্যবহার করা পারফেক্ট। আর ব্লগের প্রস্থ ১১০০ বা তার কাছাকছি হলে ৭২৮*৩২০ পিক্সেলের ছবি ব্যবহার করতে হবে। 
৮। ব্লগে লেবেল যুক্ত করার সময় মনে রাখবেন সেটি যেন এসইও ফ্রেন্ডলি হয়। আপনার যুক্ত করা লেবেলে ক্লিক করলে সার্চ ইঞ্জিনের এড্রেসবারে যে পারমালিংক প্রদর্শিত হয় সেখানে যদি %20% এইরকম লেখা থাকে তাহলে বুঝতে হবে সেটি এসইও ফ্রেন্ডলি না। ওয়ার্ডপ্রেসে এই সমস্যা না হলেও ব্লগস্পটে অহরহ হয়। এইজন্য লেবেল যুক্ত করার সময় দুই বা ততোধিক শব্দ ব্যবহার করলে মাঝে কোন ফাঁকা রাখবেন না। যদি "online income" এটিকে লেবেল হিসেবে যুক্ত করতে চান তবে "online-income" এভাবে লিখতে হবে। 
৯। ব্লগস্পটে কাস্টম পারমালিংক যুক্ত করার অপশন রয়েছে। পারমালিংক যুক্ত করার সময় সতর্ক থাকতে হবে যেন ভুল না হয় কারণ পরে এটিকে এডিট করা যায় না। পারমালিংকের প্রতিটি শব্দের মাঝে হাইফেন (-) দিতে হবে। পারমালিংক টাইটেলের থেকে বড় হতে পারবে না এবং ফোকাস কিওয়ার্ড রাখতে হবে। 
১০। সার্চ ডেসক্রিপশনে ১৫০ শব্দের মধ্যে পুরো কনটেন্টের সারাংশ তুলে ধরতে হবে। এখানে ফোকাস কিওয়ার্ড এর পাশাপাশি রিলেটেড কিওয়ার্ডও রাখতে হবে। তবে কোন কিওয়ার্ড একবারের বেশি ভুলেও ব্যবহার করা যাবে না। 

ওয়েবসাইট সার্চ কনসোলে সাবমিট করা

একটি ওয়েবসাইট কিভাবে গুগল সার্চ কনসোলে সাবমিট করে তা জানতে আমাদের এই পোস্টটি পড়তে পারেন। তাছাড়া কিভাবে পোস্ট দ্রুত গুগলে ইনডেক্স করাবেন তা জানতে আমাদের পূর্বের পোষ্টই পড়ুন। 

ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট পাবলিশের নিয়ম

আপনার পোস্ট ফেসবুক ছাড়াও অন্যান্য সোশ্যাল মাধ্যমে শেয়ার করতে পারেন। কিন্তু আমাদের দেশে ফেসবুক তুমুল জনপ্রিয় হওয়ায় এখানে পোস্ট শেয়ার করাটাই ভালো। তবে পোস্ট শেয়ার করা নিয়ে কথা বলাটা খুব জরুরি। আমরা অনেকেই যে ভুলটা করে থাকি যেকোনো গ্রুপে লিংকসহ পোস্ট শেয়ার দেই অথবা কোন ক্যাপশন ছাড়া পোস্ট শেয়ার করে থাকি। এরফলে ওই গ্রুপে আপনার পোস্ট এপ্রুভ না হওয়াটা স্বাভাবিক এবং ফেসবুক যেকোনো সময় আপনার লিংকটিকে স্প্যাম মনে করে ডোমেইনের উপর রেস্ট্রিকশন দিতে পারে। কাজেই যেকোনো গ্রুপে পোস্ট শেয়ার করার সময় ক্যাপশনে পোস্ট রিলেটেড কিছু কথা লিখে দিবেন। ফেসবুকে আপনার পোস্টগুলো শেয়ার দিলে আপনার সাইটে ভিজিটর বাড়ার পাশাপাশি আপনার সাইটের নামও অনেকের কাছে পৌঁছানো হবে। অনেকে বলে থাকেন ফেসবুকের ট্রাফিককে গুগল ইনভ্যালিড ট্রাফিক হিসেবে গণ্য করে। এটি ভুল কথা; তবে এডসেন্স পাওয়ার পর পর ফেসবুক থেকে প্রচুর ট্রাফিক আসলে সমস্যা হতে পারে। এজন্য এডসেন্স পরে কিছু সপ্তাহ সাইটের পোস্ট ফেসবুকে শেয়ার করবেন না। আসতে আসতে ট্রাফিক বাড়ার সুযোগ দিতে হবে। 

ব্যাকলিংক তৈরি করা

ব্যাকলিংক সম্পর্কে যদি সহজে বলতে চাই তবে এটি হচ্ছে কোন সাইট থেকে আপনার সাইটকে রেফার করা। ব্যাকলিংক তৈরি করার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। তবে গুগলে র‍্যাংক করে নাই, একদম নতুন সাইট এই জাতীয় ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিংক না নেওয়াই ভালো। বিগেইনারদের জন্য কমেন্ট করে ব্যাকলিংক নেওয়া সব থেকে সহজ। তবে এটা জেনে রাখুন গুগল বেশি ব্যাকলিংক থাকলেই আপনার সাইটকে র‍্যাংক করবে না। এর সাথে সাথে আপনার সাইটে ভালো মানের কনটেন্ট থাকা লাগবে। এক্ষেত্রে সহজেই কমেন্ট ব্যাকলিংক সাইট খুঁজে পেতে আমরা আপনাকে কিছু সূত্র দিচ্ছি। আশা করি বিগেইনার হিসেবে আপনি অনেক উপকৃত হয়ে থাকবেন। 

ব্লগ কমেন্ট ব্যাকলিংক সূত্র

google adsense"This blog uses premium CommentLuv" 
google adsense"Notify me of follow-up comments?" "Submit the word you see below:"
google adsense"if you have a website, link to it here" "post a new comment"
google adsense"Enter YourName@YourKeywords"
google adsense"get livefyre" "comment help" 
google adsense"blogspot.com"
এখানে আপনি গুগল এডসেন্স লেখাটি কেটে দিয়ে আপনার কিওয়ার্ডটি লিখবেন আর বাকি সব সেইম রাখবেন। তাহলে আপনার কিওয়ার্ড রিলেটেড সাইট দেখতে পাবেন এবং সেসকল সাইটে কমেন্টের মাধ্যমে ব্যাকলিংক পাবেন। তবে মনে রাখবেন বেশির ভাগ ওয়েবসাইট nofollow ব্যাকলিংক দিয়ে থাকে। কিন্তু এখানে CommentLuv সবচেয়ে কার্যকরি; এটি wordpress এর একটি কমেন্ট প্লাগিন এবং CommentLuv থেকে dofollow ব্যাকলিংক পাবেন। 

গুগল এডসেন্স পেতে আবেদন করা

Google Adsense পেতে হলে আমাদেরকে আবেদন সঠিকভাবে করতে হবে। আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার কিছু নেই। আপনি সরাসরি ব্লগার ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমেও আবেদন করতে পারেন। আবেদন করার পর এডসেন্স ড্যাশবোর্ড থেকে দেখে নিবেন Add Site অপশনে আপনার সাইটটি যুক্ত করা হয়েছে কিনা। আর গুগল এডসেন্স একাউন্টে আপনার ঠিকানার সাথে ফোন নম্বর যুক্ত করে দিবেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে খুঁজে পেতে ডাক বিভাগের জন্য সহজ হবে। নতুবা এডসেন্সের পিন ভেরিফিকেশন কোড পেতে ঝামেলা হতে পারে। 

গুগল এডসেন্স যেভাবে সাইট চেক করে

অনেকে বলে থাকেন এডসেন্স আবেদন করার পর গুগল বট সাইট চেক করে যায়। সবকিছু ঠিকঠাক পেলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গুগলে রিপোর্ট করে এবং ১ দিনের মধ্যে আপনি গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল পেয়ে যান। গুগল বট না বুঝে থাকলে পরে কোন এক্সপার্ট সেটি চেক করে। মনে রাখবেন, এটি সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণা। google adsense এর জন্য আবেদন করা সকল সাইট গুগল তাদের এক্সপার্টদের দ্বারা চেক করায়। এখানে গুগল বটের এপ্রুভালের সাথে কোন সংযোগ নেই। আপনার সাইটটি যদি উপরের সব মেনে ঠিকঠাক মত তৈরি করে আবেদন করেন তবে ১-২ দিনের মধ্যেই এডসেন্স পেয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ। Adsense Team সাধারণত ৭ দিনের মধ্যেই রেসপন্স করে। তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় সাইটে ট্রাফিক কম হলে ১৪ দিন পর্যন্ত এডসেন্স কর্তৃপক্ষ ট্রাফিক বাড়ার অপেক্ষা করে। সাধারণত প্রতিদিন ৫০-১০০ জন ভিজিটর থাকলে adsense পাওয়া সহজ হয়ে যায়। তাছাড়া আপনার প্রতিটি মেনুর অধীনে সর্বনিম্ন ৫টি করে পোস্ট রাখতে হবে। অনেকে প্রচুর মেনু, সাবমেনু দিয়ে সাইট বানান কিন্তু সেসব মেনু বা সাবমেনুর অধীনে কোন পোস্ট থাকে না। যার ফলে google adsense মনে করে আপনি কোন কনটেন্ট হাইড করে রেখেছেন যেটা হয়ত তাদের পলিসি বিরোধী। কাজেই কোন কোন মেনু বা সাবমেনু করলে সেটি ফাঁকা রাখা যাবে না। 

কনফার্মেশন ইমেইল পাওয়ার আগ পর্যন্ত করণীয়

এডসেন্স পাওয়ার আগে পর্যন্ত নিয়মিত সর্বনিম্ন ১০০০ হাজার শব্দের ১টি করে কনটেন্ট লিখে যেতে হবে। নতুবা গুগল এডসেন্স টিম মনে করবে আপনি নিয়মিত না। এই কারণেই অনেকের প্রথমবার আবেদন করার সময় সকল শর্ত পূরণ করলেও আবেদন বাতিল হয়। তবে এই সময় আপনার সকল ভিজিটর গুগল থেকেই আসতে হবে এমন কোন কথা নেই। আপনি ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ থেকেও ভিজিটর আনতে পারবেন। প্রতিদিন মোটামুটি ৫০-১০০ জন ভিজিটর আনতে পারলে ভালো হবে। 

পর্যালোচনাঃ আমরা গুগল এডসেন্স পাওয়ার কৌশল নিয়ে বিস্তারিত বলেছি। আমাদের পরামর্শ মোতাবেক কাজ করলে আপনি অবশ্যই গুগল এডসেন্স পাবেন। আপনার মনে হয়ত আরও প্রশ্ন চলে এসেছে। আপনি নির্দ্বিধায় আপনার যেকোনো প্রশ্ন কমেন্টে জানাতে পারেন; আমরা যথাসাধ্য উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। 
সবার সাথে শেয়ার করুন
এই পোস্টে 17 জন কমেন্ট করেছেন
  1. আপনারা গুগল এডসেন্স পাওয়ার কৌশল নিয়ে বিস্তারিত বলেছেন। আমি নিশ্চিত যে আপনাদের পরামর্শ মোতাবেক কাজ করলে যে কেউ অবশ্যই গুগল এডসেন্স পাবে, ইনশাল্লাহ।
    সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ।
    আমরা আলোচনা করেছি অনলাইন ইনকামের ৭ টি জনপ্রীয় মাধ্যম, এখানে এস ই ও ছাড়াও আলোচনা করা হয়েছে আরো কয়েকটি অনলাইন ইনকামের উপায়।
    https://www.blogacademy.tech/online-income/

    উত্তরমুছুন
  2. আমি Hooligan Media মনিটাইজেশন করেছি। অনেক সহজ।

    উত্তরমুছুন
  3. Hooligan Media দিয়ে আমার চ্যানেল মনিটাইজেশন করেছি। অনেক সহজ।

    উত্তরমুছুন
  4. উত্তরগুলি
    1. ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার ব্লগটি ঘুরে দেখলাম তথ্যবহুল পোস্ট করেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

      মুছুন
  5. এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।

    উত্তরমুছুন
  6. এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।

    উত্তরমুছুন
  7. অ্যাডসেন্স পেতে ৫০০+ ওয়ার্ডের কয়টি পোস্ট করতে হবে?

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. এটি শুধুমাত্র পোস্টের উপর নির্ভর করে না সাথে আপনার ভালো পরিমাণ ট্রাফিক থাকতে হবে। ইদানিং কনটেন্ট ভালো হলেও ট্রাফিক কম থাকার কারণে এডসেন্স পাওয়া যাচ্ছে না। তবে ৫০০+ শব্দের ৪০+ পোস্ট হলে এপ্লাই করেন। কারণ অল্প পোস্টে এডসেন্স পেলেও আর্নিং কম হবে।

      মুছুন
  8. আমার সাইট টা দেখে দিবেন?এডসেন্স এর আবেদন করার উপযুক্ত হয়েছে কিনা।রোজ ভিজিটর আসে ৫০ থেকে ১০০ মত।৫৮ টা আর্টিকেল লিখেছি ইনডেক্স হয়েছে ৫৬ টা।https://icheguri12.blogspot.com আমার সাইট।

    উত্তরমুছুন

  9. Very Nice. Amazing Job. Please keep it up. I like your blogs.

    I was also discussing yesterday about the same topic.
    Here: https://productscity.online/

    উত্তরমুছুন
  10. তথ্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আসলে আমি অনেকদিন ধরে আমার ওয়েবসাইট https://dboxoffice.xyz এর জন্য আবেদন করছিলাম কিন্তু সারা পাচ্ছি না। এখন আপনার পোস্ট দেখে নতুন ভাবে শুরু করবো।

    উত্তরমুছুন
  11. গুগল অ্যাডসেন্স থেকে অনুমোদন পাওয়া অসম্ভব। আমি আমার ওয়েবসাইটে চেষ্টা করেছি https://albanianway.co.uk কিন্তু ভাগ্য নেই

    উত্তরমুছুন
  12. আমি আপনের কথা মতোন কাজ করেজি এখন ভিজিটর ও আসে কিন্তু এডসেন্স এখনো পেলাম না পরে অন্য একটি এডসেন্স নিয়েছি ঐ খান থেকে মাশে ৬০ থেকে ৭০ ডলার ইনকাম হয় কিন্তু গুগোল কেনো দেয় না বলবেন আমার সাইটি দেখে
    https://exnice.com/

    উত্তরমুছুন
  13. ভালো লিখেছেন ।। ভালো লাগলো সময় করে পুরো কনটেন্ট টি পড়লাম ।।

    উত্তরমুছুন

এডমিশন টিউন কী?