এডমিশন টিউন https://www.admissiontune.com/2021/07/gk-pakistan.html

বাংলাদেশের ইতিহাসঃ পাকিস্তান আমল (১৯৪৭-১৯৭০)

ভাষা আন্দোলনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ২৪ শে জুলাই, ১৯৪৭ সালে দৈনিক আজাদ পত্রিকায় ভাষা সমস্যা সংক্রান্ত একটি নিবন্ধন প্রকাশ করেছিলেন। এখানে তিনি বলেছিলেন বিদেশী ভাষা হিসেবে যদি ইংরেজী ভাষা পরিত্যাজ্য হয় তাহলে বাংলা আমাদের পাকিস্তানি রাস্ট্র ভাষা এবং দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে উর্দু বিবেচনা করা যেতে পারে। 

ভাষা আন্দোলনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য.ডিসেম্বর ১৯৪৭,রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে উঠা,রাস্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ,২৩ শে ফেব্রুয়ারী, ১৯৪৮,ঢাকায় মি. জিন্নাহ,ছাত্রলীগ,আওয়ামী মুসলীম লীগ,বিশ্ববিদ্যালয় রাস্ট্রভাষা কর্ম পরিষদ,সর্বদলীয় রাস্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ,দুনিয়াকাপানো ৩০ মিনিট,ভাষা আন্দোলনের শহীদ ৮ জন,প্রথম শহীদ মিনার,ঢাকায় প্রথম শহীদ মিনার,প্রথম প্রকাশিত কবিতা,পাকিস্তানের সংবিধান,আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি,যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন ১৯৫৪,কাগমারী সম্মেলন ১৯৫৭,শেখ মুজিবুর রহমানের ৬ দফা,আইয়ূব খান,১৯৬৬ সালের ছয় দফা দাবিসমূহ,স্বাধীনতা পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র মূলক মামলা,৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান,৭০ এর নির্বাচন, Sk Rezwana Quadir Raisa, শিক্ষার্থী, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

ডিসেম্বর ১৯৪৭

পাকিস্তানের শিক্ষামন্ত্রী ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে শিক্ষা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এইখানে প্রথম সরকারী ভাবে সিদ্বান্ত হয় যে, উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাস্ট্র ভাষা। 

রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে উঠা

তমুদ্দিন মজলিশ (সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান) ১ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৭  সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল ছাত্র ও শিক্ষকেরা ভাষা আন্দোলনের জন্য একটী ফ্রন্ট গড়ে তোলেন। এর আহবায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের তরুণ অধ্যাপক আবুল কাশেম। 

নোটঃ অনেক বইতে আছে তমুদ্দিন মজলিস ২ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়। তথ্যটি ভুল।

রাস্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ

২ মার্চ, ১৯৪৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল ছাত্র শিক্ষকেরা ভাষা আন্দোলনের জন্য এই সংগঠনটি গড়ে তোলেন।  ৩১ জানুয়ারি, ১৯৫২ সালে ভাসানীর সভাপতিত্বে পুর্ব পাকিস্তানের সকল রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবীদের নিয়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

২৩ শে ফেব্রুয়ারী, ১৯৪৮

১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের গণপরিষদে অধিবেশনের সকল কার্যবিবরণী ইংরেজি ও উর্দুর পাশাপাশি বাংলাতেও রাখার দাবি উত্থাপন করেন ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত

ঢাকায় মি. জিন্নাহ 

১৯ শে মার্চ, ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের প্রথম গভর্ণর মি. জিন্নাহ ঢাকায় আসেন। ২১ শে মার্চ, ১৯৪৮ সালে রেসকোর্স ময়দানে এবং ২৪ শে মার্চ, ১৯৪৮ সালে কার্যন হলে ভাষণ দেন। উভয় ভাষণে তিনি উল্লেখ করেন যে উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাস্ট্রভাষা। 

ছাত্রলীগ

৪ঠা জানুয়ারী, ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগ গঠিত হয়। 

আওয়ামী মুসলীম লীগ

২৩ শে জুন, ১৯৪৯ সালে ঢাকার রোজ গার্ডেনে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাষাণীকে সভাপতি করে জনাম শামসুল হককে সাধারণ সম্পাদক, শেখ মুজিবুর রহমান কে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করে আওয়ামী মুসলীম লীগ গঠিত হয়। ১৯৫৪ সালে প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট বিপুল ভোটে জয়লাভ করলে এবং রাজনীতি থেকে সাম্প্রদায়িকতা বিষবাষ্প মুক্ত করার জন্য প্রতিষ্ঠার ৬ বছর পরে (১৯৫৫ সালে) মুসলীম শব্দটি বাদ দিয়ে আওয়ামীলীগ রাখা হয়। 

বিশ্ববিদ্যালয় রাস্ট্রভাষা কর্ম পরিষদ

১৯৫১ সালের ১১ ই মার্চ রাস্ট্রভাষা হিসেবে ভাষাসৈনিক আব্দুল মতিন কে আহবায়ক করে এই পরিষদ গঠিত হয়। 

সর্বদলীয় রাস্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ

৩১ শে জানুয়ারী, ১৯৫২ সালে ঢাকার বার কাউন্সিলে লাইব্রেরী ঘরে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাষানীকে সভাপতি করে এই পরিষদ গঠিত হয়। অতঃপর এই পরিষদ আগামী ২১ শে জানুয়ারী সারা পূর্ব বাংলায় হরতাল আহবান করে। 

দুনিয়াকাপানো ৩০ মিনিট

২১ শে ফেব্রুয়ারী, ১৯৫২ সালে ঐদিন বিকাল ৩টা ২০ মিনিট থেকে ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত ভাষা সৈনিক জনাব গাজীউল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশ শুরু হয়। জনাব আব্দুস সামাদ আজাদ ১০ জন করে অসংখ্য মিছিল বের করার মাধ্যমে ১৪৪ ধারা ভাঙ্গার কর্মসূচী দেন। 

ভাষা আন্দোলনের শহীদ ৮ জন

মানিকগঞ্জের           রফিক                           

ফেনীর আব্দুস সালাম

আব্দুল আউয়াল

ময়মনসিংহের আব্দুল জব্বার

হুগলীর শফিউর

অজ্ঞাত

আবুল বরকত (আবাই)

কিশোর অহিউল্লাহ (সর্বকনিষ্ঠ শহীদ)

 

প্রথম শহীদ মিনার

রাজশাহী সরকারী কলেজে প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়। ২১ শে ফেব্রুয়ারী ১৯৫২ সাল রাতে।

ঢাকায় প্রথম শহীদ মিনার

২২ শে ফেব্রুয়ারী, ১৯৫২ সালে ঢাকায় প্রথম শহীদ মিনারের ডিজাইন করেন, “ডাঃ বদরুল আলম” ও “সাঈদ হায়দার”। ২৩ শে ফেব্রুয়ারী, ১৯৫২ সালে ১০ ফুট উচ্চতা ও ৬ ফুট প্রস্থের শহীদ মিনারটী উদ্ভোদন করে ভাষা সৈনিক শহীদ সফিউর রহমানের পিতা মৌলভী মাহমুদুর রহমান। পাকিস্তানি পুলিশ বাহিনী ২৪ শে ফেব্রুয়ারী ১৯৫২ সাল রাতে শহীদ মিনারটি ভেঙ্গে ফেলেন। আলাউদ্দিন আল আযাদ স্মৃতিমিনার কবিতাটি রচনা করেন। 

প্রথম প্রকাশিত কবিতা

“কাঁদতে আসিনি আমি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি” – লিখেছেন মাহবুবুল আলম চৌধুরী 

একুশের সংকলনসমূহ

১৯৫৩ সালে ২১ শে ফেব্রুয়ারীর নামে প্রথম সংকলন প্রকাশিত হয়। এর প্রকাশক ছিলেন পুথিঘর লিঃ পক্ষে মুহাম্মদ সুলতান।  সম্পাদক ছিলেন হাসান হাফিজুর রহমান।  আব্দুল জব্বার রচনা করেন, “সালাম সালাম হাজার সালাম” গানটি।

পাকিস্তানের সংবিধান

১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের খসড়া সংবিধান গৃহীত হয় যা ২৩ শে মার্চ, ১৯৫৬ সালে সংবিধান কার্যকর হয়। এই সংবিধানে গভর্ণর জেনারেল পদ পরিবর্তন করে রাস্ট্রপতি পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়। এই সুবাদে পাকিস্তানের প্রথম প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মির্জা। আইয়ূব খান কে প্রধান সামরিক শাসক করা হয়।  বাংলাকে রাস্ট্রভাষা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয় সংবিধানের ২১৪ নম্বর আর্টিকেলে। 

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি

২১ শে ফেব্রুয়ারিকে ইউনেস্কো তাদের ৩১তম (১৯৯৯ সালে) সাধারণ অধিবেশনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে ২০০০ সাল থেকে। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ১৮৮টি দেশ এই দিবসটি পালন করছে। সিয়েরা লিওনের ২য় সরকারি ভাষা হল বাংলা

যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন ১৯৫৪

১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর তারিখে আওয়ামী মুসলিম লীগ (মাওলানা ভাসানী) কৃষক শ্রমিক পার্টি (শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক), গণতন্ত্রী দল (হাজী দানেশ), ও মাওলানা আতাহার আলীর নেজামে ইসলাম পার্টি। এই যুক্তফ্রন্ট ২১ দফার একটি নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করে। ঐ ইশতেহার ছিল লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে। যুক্তফ্রন্টের প্রতীক ছিল নৌকা। নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট ২২৩টা (৩০৯টির মধ্যে) আসন লাভ করে। এই সরকারের কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

কাগমারী সম্মেলন ১৯৫৭

১৯৫৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি আওয়ামীলীগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে টাঙ্গাইল জেলার সন্তোষে একটি ঐতিহাসিক সম্মেলন যা “কাগমারী সম্মেলন” নামে পরিচিত। অনুষ্ঠানে মাওলানা ভাসানী পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যদি পূর্ব পাকিস্তানে শোষণ অব্যাহত থাকে তবে তিনি পশ্চিম পাকিস্তানকে “আসসালামু আলাইকুম” জানাতে বাধ্য হবেন।

আইয়ূব খান

৭ অক্টোবর, ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মির্জা সামরিক শাসন জারি করেন এবং আইয়ূব খানকে প্রধান সামরিক শাসক হিসেবে নিযুক্ত করেন। ২৭ অক্টোবর, ১৯৫৮ সালে আইয়ূব খান ইস্কান্দার মির্জাকে ক্ষমতাচ্যূত করে রাস্ট্রপতির ক্ষমতা দখল করেন। 

শেখ মুজিবুর রহমানের ৬ দফা

ঘোষণা করা হয় বারঃ ৫ ফেব্রুয়ারি, ১৩ ফেব্রুয়ারি ও ২৩ মার্চ ১৯৬৬ ৫ ও ৬ ই ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৬ সালে নেজামে ইসলামী নেতা চৌধুরী মুহাম্মদ আলী (পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী) বাসভবনে নিখিল পাকিস্তান জাতীয় সম্মেলনে শেখ মুজিব ৬ দফা দাবী উত্থাপন করেন।  ৬ দফা রচিত হয় লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে। ১১ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৬ সালে লাহোর বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শেখ মুজিব বলেন, “৬ দফা বাঙ্গালী জাতির মুক্তির সনদ”। ৬ দফা সম্বলিত ১ম পুস্তিকার নাম – “আমাদের বাঁচার দাবী ৬দফা কর্মসূচি”৬ দফাকে ম্যাগনাকার্টা বলা হয়। ৭ই জুন ৬ দফা দিবস।

১৯৬৬ সালের ছয় দফা দাবিসমূহ

·         প্রস্তাব - ১ : শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রের প্রকৃতি

·        প্রস্তাব - ২ : কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা

·         প্রস্তাব - ৩ : মুদ্রা বা অর্থ-সম্বন্ধীয় ক্ষমতা

·         প্রস্তাব - ৪ : রাজস্ব, কর, বা শুল্ক সম্বন্ধীয় ক্ষমতা

·         প্রস্তাব - ৫ : বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক ক্ষমতা

·        প্রস্তাব - ৬ : আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা

নোটঃ কিছু কিছু বইতে উল্লেখ করা ২৩ মার্চ ৬ দফা দিবস। যা ভুল তথ্য।

স্বাধীনতা পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র মূলক মামলা

১৯৬৭-৬৮ সালে স্বাধীনতা পরিকল্পনা করা হয়। আমির হোসেন নামে বিমান বাহিনীর অবসর প্রাপ্ত অফিসার স্বাধীনতা পরিকল্পনার কথা পাকিস্তানী গোয়েন্দার নিকট ফাঁস করে দেন। ১৮ জানুয়ারী, ১৯৬৮ সালে শেখ মুজিবুর রহমান কে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে পুনরায় জেলগেটে গ্রেফতার করা হয় এবং ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যাওয়া হয়। ১১ এপ্রিল, ১৯৬৮ সালে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। এই ট্রাইব্যুনালে চেয়ারম্যান ছিলেন পাঞ্জাবী বিচারপতি S. A. Rahman এবং দুজন বাঙ্গালী বিচারক M. Rahim (Sylhet) & M. Hakim (Khulna) ১৯ শে জুন, ১৯৬৮ সালে রাস্ট্র বনাম শেখমুজিব ও অন্যান্য নামে আগড়তলা ষড়যন্ত্র মামলা করা হয়। এই মামলায় শেখ মুজিবকে আসামী করে করে মোট ৩৫ জনকে আসামী করা হয়। সাক্ষী হিসেবে ২৫১ জন এবং রাজ সাক্ষী হিসেবে ১১ জন এবং তদন্ত পুলিশ অফিসার ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। ১৫ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৯ সালে আগড়তলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামী সার্জেন্ট জহুরুল হককে ঢাকার ক্যান্টনমেন্টে হত্যা করা হয়। ২২ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৯ সালে মামলা প্রত্যাহার করা হয়২২  ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৯ সালে শেখ মুজিব সহ অন্যান্যরা মুক্তি পান ২৩ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৯ সালে জনাব তোফায়েল আহমেদ এর প্রস্তাবে জনতার সমর্থনে শেখমুজিব “বঙ্গবন্ধু” উপাধী দেওয়া হয়।

৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান

·         ৪ জানুয়ারি - সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ তাদের ঐতিহাসিক ১১ দফা কর্মসূচী পেশ করেন।[৫]

·         ২০ জানুয়ারি - ছাত্রদের মিছিলে গুলিবর্ষনের ঘটনায় নিহত হন ছাত্র আসাদুজ্জামান। শামসুর রাহমান আসাদের স্মৃতিচারণে লিখেন “আসাদের শার্ট” কবিতাটি।

·         ২৪ জানুয়ারি - পুলিশের গুলিতে নিহত হন কিশোর ছাত্র মতিয়ুর রহমান-সহ আরো অনেকে।

·         ১৫ ফেব্রুয়ারি - কুর্মিটোলা ক্যান্টনমেন্টে আটক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম আসামী সার্জেন্ট জহুরুল হক কে হত্যা । 

·         ১৮ ফেব্রুয়ারি - রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মৌন মিছিলে গুলি চালালে নিহত হন শিক্ষক ড. শামসুজ্জোহা।

·         ২৬ ফেব্রুয়ারি - বিরোধী নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনার জন্য আইয়ুব খান গোলটেবিল বৈঠক আহবান করেন। পরবর্তীতে গোলটেবিল বৈঠক ব্যর্থ হলে আইয়ুব খান পদত্যাগ করেন।

 

৭০ এর নির্বাচন

জাতীয় পরিষদ নির্বাচনঃ ৭ ডিসেম্বর, ১৯৭০ মোট আসনঃ ৩১৩ টি

[নির্বাচিত আসন ৩০০টি + সংরক্ষিত মহিলা আসন ১৩ টি] পূর্ব পাকিস্তান পায় = ১৬৯ টি আসন [১৬২টি আসন + ৭টি সংরক্ষিত আসন] আওয়ামীলীগ জয় লাভ করে = ১৬৭ টি আসন [১৬০টি আসন + ৭ টি সংরক্ষিত আসন]

পাকিস্তানের প্রাদেশিক নির্বাচনঃ ১৭ ডিসেম্বর, ১৯৭০ মোট আসনঃ ৩১০ টি

[নির্বাচিত আসন ৩০০টি + সংরক্ষিত মহিলা আসন ১০ টি] আওয়ামীলীগ জয় লাভ করে = ২৯৮ টি আসন [২৮৮টি আসন + ১০ টি সংরক্ষিত আসন]

ছবিঃ Sk Rezwana Quadir Raisaশিক্ষার্থী, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

 

সবার সাথে শেয়ার করুন
এই পোস্টে 3 জন কমেন্ট করেছেন

এডমিশন টিউন কী?