এডমিশন টিউন https://www.admissiontune.com/2021/07/create-free-website-bangladesh.html

ফ্রি ওয়েবসাইট খোলার নিয়ম ২০২২

বর্তমান সময়ে ওয়েবসাইট তৈরি করা সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। আবার সেটি যদি একটি ফ্রি ওয়েবসাইট হয় তাহলে তো আপনার ওয়েবসাইট বানানোর খরচ বেচে গেল। কিভাবে ফ্রি ওয়েবসাইট বানানো যায় এই বিষয়টি নিয়ে আজকে আপনাদের বিস্তারিত জানাবো। 
ফ্রি ওয়েবসাইট খোলার নিয়ম, মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে, ওয়েবসাইট তৈরির খরচ, কিভাবে ফ্রি ওয়েবসাইট বানানো যায়, ওয়েবসাইট কিভাবে বানাবো, ই কমার্স ওয়েবসাইট, ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম, ওয়েবসাইট খোলার নিয়ম, ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট খুলে কিভাবে টাকা আয় করা যায়

তবে ওয়েবসাইট বানানোর পাশাপাশি ব্লগিং করে কিভাবে টাকা আয় করতে পারবেন সেই টিপসও পোস্টের শেষে পেয়ে যাবেন। তাছাড়া আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকলে সেটার জন্য ফ্রিতে ই-কমার্স ওয়েবসাইট বানাতে পারবেন। যারা মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান, তারাও আমাদের এই পোস্টটি পড়ে খুব সহজেই এই কাজটি করতে পারবেন।

ওয়েবসাইট কি? 

ওয়েব সার্ভারের অধিনে থাকা বিভিন্ন তথ্যের সমষ্টিকে ওয়েবসাইট বলে। এখানে বিভিন্ন তথ্য বলতে মূলত লেখা, ছবি, ভিডিও-সহ যেকোনো ডিজিটাল তথ্যের সমাবেশকে বুঝায় যেখানে প্রবেশ করতে ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন হয়। আরও  সহজ ভাষায় বলতে পারি একই ডোমেইন নেইমের অধীনে থাকা কতগুলো ওয়েবপেজের সমষ্টিকে ওয়েব সাইট বলে।

আমরা এই পোস্টটিতে কিভাবে ফ্রি ওয়েবসাইট বানানো যায় এটি বলার পাশাপাশি আপনাদেরকে একটি ফ্রি ওয়েবসাইট বানিয়ে দেখাবো। আপনি যদ ফ্রি ওয়েবসাইট বানানোর এই পোস্টটি ফলো করেন তবে খুব সহজেই নিজের আকর্ষণীয় ফ্রি ওয়েবসাইট বানিয়ে ফেলতে পারবেন।

ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে? 

আমরা যেহেতু ফ্রি ওয়েবসাইট বানাবো কাজেই আমাদের হোস্টিংয়ের প্রয়োজন হবে না। আপনি চাইলে কাস্টম ডোমেইন কিনতে পারেন আবার ফ্রি ডোমেইনও ব্যবহার করতে পারেন। তবে .co.cc, .tk এই জাতীয় ফ্রি ডোমেইন ব্যবহার না করাই ভালো। এগুলো সাধারণত স্প্যামাররা ব্যবহার করে ফলে এই জাতীয় ডোমেইন ব্যবহার করে এডসেন্স পাবেন না বললেই চলে। কাজেই ওয়েবসাইট তৈরি করতে আপনার ইন্টারনেট সংযোগ, পিসি বা ল্যাপটপ অথবা মোবাইল, একটি থিম বা টেম্পলেট (ফ্রি অথবা পেইড), একটি টপ লেভেল ডোমেইন - এই কয়েকটি জিনিসের প্রয়োজন পড়বে। blogspot সাবডোমেইন দিয়েও এডসেন্স পাবেন তবে সাইটে অনেক ভিজিটর থাকা লাগে এবং ভালো মানের কনটেন্ট থাকতে হবে।

ওয়েবসাইট তৈরির খরচ

আমরা আগেই বলেছি যেহেটু হোস্টিং খরচ নেই ফলে আপনি শুধু কাস্টম ডোমেইন কিনেই ওয়েবসাইট বানাতে পারবেন। একটি ডট কম ডোমেইনের খরচ ৮০০ টাকার কাছাকাছি পড়বে। এটি নির্ভর করে আপনি কোন প্রতিষ্ঠান থেকে ডোমেইন কিনবেন তার উপর। আমাদের পরামর্শ থাকবে নেইমচিপ থেকে কেনার জন্য। আর পেইড থিম কিনতে গেলে ৯ ডলার থেকে ২৩ ডলার পর্যন্ত দাম পড়বে। তবে ফ্রি থিম ব্যবহার করেও গুগল এডসেন্স পাবেন। 

ওয়েবসাইট খোলার নিয়ম

ফ্রি ওয়েবসাইট খোলার জন্য প্রথমেই আপনাকে পিসি বা মোবাইলে গুগলে গিয়ে blogger.com লিখে সার্চ করতে হবে। সাধারণত পিসিতে থিম কাস্টমাইজেশন সহজ ফলে আপনি মোবাইলে থ্রি ডট আইকনে ক্লিক করে ডেস্কটপ মুড করে নিলে ভালো হয়। ব্লগার ডট কমে যাওয়ার পর আপনি দুইটি অপশন দেখতে পাবেন। একটিতে আপনাকে সাইন ইন করতে বলা হবে অর্থাৎ আপনার যদি আগে ব্লগ তৈরি করা থাকে সেক্ষেত্রে সাইন ইন করে বাকি কাজ করতে পারবেন। আগে কোন ব্লগ না থাকলে Create your blog লেখাতে ক্লিক করে কাজ করতে হবে। 
ফ্রি ওয়েবসাইট খোলার নিয়ম, মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে, ওয়েবসাইট তৈরির খরচ, কিভাবে ফ্রি ওয়েবসাইট বানানো যায়, ওয়েবসাইট কিভাবে বানাবো, ই কমার্স ওয়েবসাইট, ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম, ওয়েবসাইট খোলার নিয়ম, ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট খুলে কিভাবে টাকা আয় করা যায়
ক্লিক করার পর আপনার ব্রাউজারে লগ ইন থাকা ইমেইল আইডিগুলো দেখতে পাবেন। আর লগ ইন করা না থাকলে আপনি ইমেইল আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করে নিবেন। লগ ইন করার পর আপনার সামনে একটি ছোট উইন্ডো আসবে এবং সাইটের টাইটেল দিতে বলবে। এখানে আপনি যে নাম দিতে চান দিতে পারবেন। 

মনে রাখবেন সাইটের ইউআরএলের সাথে মিল রেখে নাম দেওয়া ভালো।URL অংশে সবগুলো অক্ষর ছোট হাতের দিবেন। যদি আপনার লেখা URL কেউ আগে থেকে কেউ ব্যবহার করে তবে "Sorry, this blog address isn't available" শো করবে। সেক্ষেত্রে আপনাকে অন্য আরেকটি URL লিখে ট্রাই করতে হবে।এরপর আপনার কাছে ডিসপ্লে নেইম জানতে চাওয়া হবে। অর্থাৎ ব্লগে পাঠকের কাছে আপনার যে নাম দেখাতে চান সেটি লিখতে হবে। আপনি চাইলে এখানে নিজের নামও দিতে পারেন।  তবে ইউআরএল, টাইটেল ও ডিসপ্লে নেইম আপনি যেকোনো সময় পরিবর্তন করতে পারবেন। কাজেই প্রথমে যে তথ্য দিয়ে ব্লগ তৈরি করুন না কেন সমস্যা নেই। 
ফ্রি ওয়েবসাইট খোলার নিয়ম, মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে, ওয়েবসাইট তৈরির খরচ, কিভাবে ফ্রি ওয়েবসাইট বানানো যায়, ওয়েবসাইট কিভাবে বানাবো, ই কমার্স ওয়েবসাইট, ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম, ওয়েবসাইট খোলার নিয়ম, ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট খুলে কিভাবে টাকা আয় করা যায়
ফ্রি ওয়েবসাইট খোলার নিয়ম, মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে, ওয়েবসাইট তৈরির খরচ, কিভাবে ফ্রি ওয়েবসাইট বানানো যায়, ওয়েবসাইট কিভাবে বানাবো, ই কমার্স ওয়েবসাইট, ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম, ওয়েবসাইট খোলার নিয়ম, ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট খুলে কিভাবে টাকা আয় করা যায়

ফ্রি ওয়েবসাইট খোলার নিয়ম, মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে, ওয়েবসাইট তৈরির খরচ, কিভাবে ফ্রি ওয়েবসাইট বানানো যায়, ওয়েবসাইট কিভাবে বানাবো, ই কমার্স ওয়েবসাইট, ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম, ওয়েবসাইট খোলার নিয়ম, ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট খুলে কিভাবে টাকা আয় করা যায়
উপরের সব কাজ ঠিকঠাক মত করে থাকলে আপনি নিচের ছবির মত ইন্টারফেস দেখতে পাবেন। এখানে হাতের বাম পাশে অনেকগুলো অপশন দেখতে পাচ্ছেন। আমরা ব্লগস্পটের অপশনগুলো নিয়ে বিস্তারিত জানবো। ওয়েবসাইট তৈরি করার এগুলো জানা খুবই প্রয়োজনীয়। আমাদের জিমেইল একাউন্টে বাংলা ভাষা সিলেক্ট করা দেখে আমাদের ছবির লেখাগুলো বাংলায় দেখতে পাচ্ছেন। আপনার ক্ষেত্রে এটি ইংরেজিতে থাকতে পারে।
ফ্রি ওয়েবসাইট খোলার নিয়ম, মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে, ওয়েবসাইট তৈরির খরচ, কিভাবে ফ্রি ওয়েবসাইট বানানো যায়, ওয়েবসাইট কিভাবে বানাবো, ই কমার্স ওয়েবসাইট, ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম, ওয়েবসাইট খোলার নিয়ম, ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট খুলে কিভাবে টাকা আয় করা যায়

ব্লগার/ব্লগস্পট ওয়েবসাইট 

প্রথমে পোস্ট অপশন অপশন দেখতে পাবেন। পোস্ট অপশনের উপরে + চিহ্ন যুক্ত নিউ পোস্ট লেখাতে ক্লিক করলে আপনার সামনে একটি পৃষ্ঠা উন্মুক্ত হবে এবং সেখানে আপনি আপনার পোস্ট বা আর্টিকেল লিখতে পারবেন। আর্টিকেল লেখা নিয়ে পূর্বে আমরা আলোচনা করেছি। 

পোস্টের নিচে পরিসংখ্যান লেখা দেখতে পাচ্ছেন। এখানে ক্লিক করলে আপনার ব্লগের ফলোয়ার কতজন, মোট কতটি পোস্ট পাবলিশ করেছেন এবং মোট কতটি কমেন্ট আপনার ব্লগে করা হয়েছে সেগুলো দেখতে পাবেন। তাছাড়া এটির নিচে মত কতজন মানুষ আপনার ব্লগ ভিজিট করেছে, আজকে কতজন ভিজিট করেছে, গতকাল কত ভিজিটর ছিল, এই মাসে কতজন ভিজিটর ও বিগত মাসে ভিজিটর সংখ্যা দেখতে পাবেন। 
ফ্রি ওয়েবসাইট খোলার নিয়ম, মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে, ওয়েবসাইট তৈরির খরচ, কিভাবে ফ্রি ওয়েবসাইট বানানো যায়, ওয়েবসাইট কিভাবে বানাবো, ই কমার্স ওয়েবসাইট, ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম, ওয়েবসাইট খোলার নিয়ম, ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট খুলে কিভাবে টাকা আয় করা যায়
আমরা যেহেতু নতুন একটি সাইট তৈরি করে আপনাদেরকে দেখাচ্ছি ফলে এখানে ভিজিটর না আসায় কোন সংখ্যা শো করছে না। তাছাড়া আপনাদের আরেকটি জানার বিষয় থাকে। ধরুন আপনি আপনার সাইটে দিনে ১০০ বার গেলেন সেক্ষেত্রে কিভাবে বুঝবেন যে আপনি নিজে ছাড়া কতজন ভিজিটর এসেছে? এজন্য আপনাকে পরিসংখ্যান অপশনে গিয়ে স্ক্রল করে একদম নিচে যেতে হবে এবং "আপনার ব্লগের পৃষ্ঠা দেখা সংক্রান্ত ট্র্যাকিং ম্যানেজ করুন (Manage the tracking of your own pageviews)" এই লেখাটির উপর ক্লিক করতে হবে।

অতপর আপনাকে অন্য একটি পেইজে নিয়ে যাবে সেখানে নিচের ছবির মত উইন্ডো দেখতে পাবেন। এইখানে একটি ছোট বক্স দেখতে পাবেন এখানে কি লেখা আছে দেখার প্রয়োজন নেই। এই বক্সটিতে ক্লিক করলে একটি (✔) চিহ্ন দেখবেন। ব্যস এবার পেইজটি ক্লোজ করে দিন। ফলে এখন থেকে উক্ত ব্রাউজার দিয়ে আপনি ১০০ বার আপনার সাইটে গেলেও আপনার পেইজ ভিউ গণনা করা হবে না। 
ফ্রি ওয়েবসাইট খোলার নিয়ম, মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে, ওয়েবসাইট তৈরির খরচ, কিভাবে ফ্রি ওয়েবসাইট বানানো যায়, ওয়েবসাইট কিভাবে বানাবো, ই কমার্স ওয়েবসাইট, ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম, ওয়েবসাইট খোলার নিয়ম, ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট খুলে কিভাবে টাকা আয় করা যায়
এরপর কমেন্ট ও উপার্জন এই দুইটি অংশ নিয়ে বেশি আলোচনা করার সুযোগ নেই। কমেন্ট সিস্টেম নিয়ে সেটিংস অংশে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আর উপার্জন তথা গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় নিয়ে অন্য একটি পোস্টে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। 

উপার্জন অংশের পর পৃষ্ঠা অপশন দেখতে পাচ্ছি। আসলে পৃষ্ঠা আর পোস্ট এই দুইটির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। আমরা সাধারণত যে কনটেন্টগুলো গুগলে র‍্যাংক ও ইনডেক্স করাতে চাই সেগুলো পোস্ট অংশে লিখে থাকি। আর যে কনটেন্ট গুগলে ইনডেক্স বা র‍্যাংক করাতে চাইলে না সেগুলো পৃষ্ঠাতে লিখে থাকি। যেমনঃ আমাদের প্রাইভেসি পিলিসি, আমাদের সম্পর্কে (About us), যোগাযোগ (Contact us) - এই বিষয়গুলো আমরা পেইজে তৈরি করি। তবে কেন পেইজ র‍্যাংক করাতে চাই না সে বিষয়ে ব্লগস্পটের সেটিংস অংশে বিস্তারিত আলোচনা হবে। 

লেআউট অংশমূলত এডমিন প্যানেল হিসেবে কাজ করে। আপনি ব্লগে যে ব্লগার থিম বা টেমপ্লেটটি ব্যবহার করবেন সেটির কাস্টমাইজেশন এই এডমিন প্যানেল থেকে করতে হবে। যেমনঃ হেডার লোগো, মেনু, সাবমেনু, ফুটার লোগো ব্লগার থিমের ইত্যাদি বিষয় লেআউট অপশন থেকে নিজের মত কাস্টমাইজ করতে হয়। 

থিম সেকশনটি ব্লগারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। থিম সেকশনে গিয়ে আপনার পছন্দমত একটি ব্লগার থিম আপলোড করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে প্রথমে থিম সেকশনে এসে Customize লেখার পাশের ড্রপ ডাউন আইকনে ক্লিক করতে হবে। এরপরে Edit html লেখায় ক্লিক করলে একটি নতুন ইন্টারফেস দেখতে পাবেন যেখানে কিছু কোডিং লেখা থাকবে। পিসিতে Ctrl+A চেপে সবগুলো লেখা সিলেক্ট করে ডিলিট করে দিবেন। 
ফ্রি ওয়েবসাইট খোলার নিয়ম, মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে, ওয়েবসাইট তৈরির খরচ, কিভাবে ফ্রি ওয়েবসাইট বানানো যায়, ওয়েবসাইট কিভাবে বানাবো, ই কমার্স ওয়েবসাইট, ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম, ওয়েবসাইট খোলার নিয়ম, ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট খুলে কিভাবে টাকা আয় করা যায়
পিসিতে Ctrl+A চেপে সবগুলো লেখা সিলেক্ট করে ডিলিট করে দিবেন। এরপরে আপনার পছন্দনীয় ব্লগার থিম নোটপ্যাডে ওপেন করে Ctrl+A চেপে সবগুলো লেখা কপি করবেন এবং পূর্বে ডিলিট করা অংশে পেস্ট করবেন। এখন সেইভ থিমে ক্লিক করলেই কাজ হয়ে যাবে। এবার আপনার ব্লগার থিমটি নিজের মত করে কাস্টমাইজ করে নিবেন। 
ফ্রি ওয়েবসাইট খোলার নিয়ম, মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে, ওয়েবসাইট তৈরির খরচ, কিভাবে ফ্রি ওয়েবসাইট বানানো যায়, ওয়েবসাইট কিভাবে বানাবো, ই কমার্স ওয়েবসাইট, ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম, ওয়েবসাইট খোলার নিয়ম, ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট খুলে কিভাবে টাকা আয় করা যায়
এখানে আপনাদেরকে দেখানোর জন্য একটা থিমের কোডিং বসানো হয়েছে। গোলাকার চিহ্নযুক্ত অংশটি সেইভ বাটন। এখানে ক্লিক করলেই থিমটি আপনার ব্লগে সেইভ হয়ে যাবে। 
ফ্রি ওয়েবসাইট খোলার নিয়ম, মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে, ওয়েবসাইট তৈরির খরচ, কিভাবে ফ্রি ওয়েবসাইট বানানো যায়, ওয়েবসাইট কিভাবে বানাবো, ই কমার্স ওয়েবসাইট, ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম, ওয়েবসাইট খোলার নিয়ম, ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট খুলে কিভাবে টাকা আয় করা যায়
থিম সেইভ হয়ে গেলে পাশের অ্যারো চিহ্নে ক্লিক করে পুনরায় ব্লগার ড্যাশবোর্ডে চলে আসবেন। এখন নিচে ব্লগ দেখুন লেখায় ক্লিক করতে হবে। 
ফ্রি ওয়েবসাইট খোলার নিয়ম, মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে, ওয়েবসাইট তৈরির খরচ, কিভাবে ফ্রি ওয়েবসাইট বানানো যায়, ওয়েবসাইট কিভাবে বানাবো, ই কমার্স ওয়েবসাইট, ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম, ওয়েবসাইট খোলার নিয়ম, ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট খুলে কিভাবে টাকা আয় করা যায়
এবার নতুন একটি উইন্ডো ওপেন হবে এবং সেখানে আপনার সাইটটি দেখতে পাবেন। এখানে আমরা যে ব্লগার থিম/ টেমপ্লেট সেইভ করেছি সেটার কোডিং অনুযায়ী ওয়েবসাইট দেখতে পাচ্ছি। 
ফ্রি ওয়েবসাইট খোলার নিয়ম, মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে, ওয়েবসাইট তৈরির খরচ, কিভাবে ফ্রি ওয়েবসাইট বানানো যায়, ওয়েবসাইট কিভাবে বানাবো, ই কমার্স ওয়েবসাইট, ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম, ওয়েবসাইট খোলার নিয়ম, ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট খুলে কিভাবে টাকা আয় করা যায়
এ পর্যন্ত আমরা মোটামুটি ২০% কাজ করতে পেরেছি! শুনে হয়তো অবাক লাগছে আপনাদের। কিন্তু এখন সেটিংসের কাজ শেষ করলেই আপনার ব্লগার ওয়েবসাইটের ৭০% কাজ শেষ হয়ে যাবে। 

ব্লগার সেটিংস 

ব্লগারে অন পেইজ এসই'র বেশির ভাগ কাজ করতে হয় সেটিংস থেকে। অনেক এসইও এক্সপার্টরাই বলে থাকেন ওয়েবসাইটের ৭০% কাজ নির্ভর করে অন পেইজ এসইও এর উপর বাকি ৩০% নির্ভর করে অফ পেইজ এসইও এর উপর। এই বাড়তি কথাগুলো বলার অর্থ আপনাকে ব্লগারের সেটিংস যথাযথভাবে করতে হবে। এটি একবার করলে আর বারবার কোন পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই। ফলে মনোযোগ সহকারে এই অংশটি পড়ুন। 

ব্লগার মূল সেটিংস 

ফ্রি ওয়েবসাইট খোলার নিয়ম, মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে, ওয়েবসাইট তৈরির খরচ, কিভাবে ফ্রি ওয়েবসাইট বানানো যায়, ওয়েবসাইট কিভাবে বানাবো, ই কমার্স ওয়েবসাইট, ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম, ওয়েবসাইট খোলার নিয়ম, ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট খুলে কিভাবে টাকা আয় করা যায়
টাইটেল/ শীর্ষকঃ আপনার ব্লগার ওয়েবসাইট কোন নামে ভিজিটরদের কাছে পরিচিতি পাবে সেটির উপর ভিত্তি করে টাইটেল বা শীর্ষক অংশটি এডিট করতে হবে। এটি সাধারণত আপনার সাইটের ডোমেইন নেমের সাথে মিল রেখে কোন নাম দেওয়া ভালো। তবে মনে রাখতে হবে টাইটেল কোনভাবেই ৭০ অক্ষরের বেশি হতে পারবে না। মোটামুটি ৩০-৬৫ অক্ষরের মধ্যে থাকা টাইটেলকে এসইও ফ্রেন্ডলি বলা হয়। 

ডেসক্রিপশন/ বর্ণনাঃ এখানে আপনাকে মিনিমাম ৫০০ অক্ষরের মধ্যে একটি ডেসক্রিপশন লিখতে হবে। আপনার সাইটের সম্পর্কে ছোট একটি বিবরণ এখানে লিখতে হবে। তবে যেহেতু সীমিত অক্ষরের মধ্যে লিখতে হবে ফলে আপনি চেষ্টা করবেন প্রয়োজনীয় শব্দচয়ন না করার। এই অংশটির কার্যকরী কোন ভূমিকা নেই। 

ব্লগের ভাষাঃ আপনি যে ভাষায় ব্লগ করতে চান সেই ভাষা সিলেক্ট করবেন। তবে মনে রাখবেন একই ব্লগে একাধিক ভাষা ব্যবহার করা যাবে না। বিশেষ করে এডসেন্স পাওয়ার আগে করবেন না। আর ইংরেজি ভাষায় ব্লগিং করতে চাইলে অবশ্যই নিজে থেকে কনটেন্ট লিখার অভ্যাস থাকতে হবে। স্পিন আর্টিকেল, রিরাইট বা গুগল ট্রান্সলেট করে বেশিদূর আগাতে পারবেন না। 

অন্যান্য অংশঃ ব্লগের ভাষার পর যে দুইটি অপশন দেখতে পাচ্ছেন (স্পর্শকাতর কনটেন্ট) এগুলো যেমন আছে তেমন থাকতে দিন। মনে রাখবেন যদি আপনি এই অপশন ভুলেও অন করবেন তবে এডসেন্স পাবেন না। গুগল এই জাতীয় ব্লগে এডসেন্স দেয় না। এখানে গুগল এনালিটিকসের অপশনটি ফাঁকা রাখবেন। গুগল এনালিটিকস html স্ক্রিপ্টের দ্বারা ভেরিফাই করে নিতে হবে। 

Blogspot ব্লগের জন্য Favicon Icon কিভাবে তৈরি করে

আপনি ব্রাউজারে যেকোনো ওয়েবসাইট ওপেন করার পর ট্যাববারে সেই সাইটের একটি লোগো দেখতে পাবেন। সেটিকেই মূলত ফেবিকন বলা হয়। যেমনঃ ব্রাউজারে ফেসবুক চালানোর সময় facebook লেখার পাশে f যুক্ত গোলাকার ছোট একটি লোগো দেখতে পাই। আপনার সাইটে ফেবিকন যুক্ত করতে চাইলে এই অপশনটি ব্যবহার করবেন। এখানে ক্লিক করলেই ছবি আপলোড দেওয়ার ফাইল পাবেন। মনে রাখবেন ব্লগারে ফেবিকন সাইজ 24x24px, 32x32 px, 48x48px ও 96x96px  হলে ভালো এবং ফাইল সাইজ 100kb এর কম হবে হবে। তবে ব্লগারে 32x32px এর png ফরম্যাটের বর্গাকার ছবি ফেবিকন হিসেবে ব্যবহার করলে ভালো। 
ফ্রি ওয়েবসাইট খোলার নিয়ম, মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে, ওয়েবসাইট তৈরির খরচ, কিভাবে ফ্রি ওয়েবসাইট বানানো যায়, ওয়েবসাইট কিভাবে বানাবো, ই কমার্স ওয়েবসাইট, ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম, ওয়েবসাইট খোলার নিয়ম, ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট খুলে কিভাবে টাকা আয় করা যায়
এখানে Browse... লেখায় ক্লিক করে আপনার ফেবিকনটি আপলোড করতে হবে। এরপরে সেইভ বাটনে ক্লিক করলেই কাজ হয়ে যাবে। ফেবিকন আইকন তৈরি করার জন্য অনলাইনে বিভিন্ন টুলস পাবেন। 

এখন ছোটোখাটো কিছু অপশনের সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করে যাচ্ছি। ফেবিকনের পর প্রাইভেসি অপশন দেখতে পাবেন। এটি নিজে থেকেই অন থাকে। এখানে আপনার কিছু করতে হবে না। 

Publishing অপশনে আপনার ব্লগের ডোমেইন নেইমটি দেখতে পাবেন। আপনি চাইলে ডোমেইন নেইম যেকোনো সময় চেঞ্জ করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন গুগলে ওয়েবসাইট ইনডেক্স করার পর সাইটের লিংক চেঞ্জ না করাই ভালো। সেক্ষেত্রে আপনাদের কনটেন্টের উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। তাছাড়া আপনি .blogspot এর পরিবর্তে কাস্টম ডোমেইন ব্যবহার করতে পারবেন। এটির বিস্তারিত আলোচনা অন্য পোস্টে করা হয়েছে।

ব্লগস্পটে HTTPS redirect অপশনটি অন করা থাকে। তবে এটি ভুলেও অফ করা যাবে না। সেক্ষেত্রে এসইওতে বাজে প্রভাব পড়বে। ওয়ার্ডপ্রেসের ক্ষেত্রে যেটিকে SSL Certificate বলা হয় ব্লগারে এই অপশনটি সে কাজ করে। 

এবার Permissions অপশনে ৩টি সাব-অপশন দেখতে পাচ্ছেন। এখানে এডমিন হিসেবে আপনার ইমেইল আইডির নাম দেখতে পারবেন। বলে রাখা ভালো বিশ্বস্ত ছাড়া অন্য কাউকে ব্লগের এডমিন করা যাবে না। তবে এর নিচে Invite more authors অপশনে আপনি ব্লগের কনটেন্ট রাইটার হিসেবে যাকে ইনভাইট করতে চান তার ইমেইল আইডি লিখে Send বাটনে ক্লিক করবেন। সচারচর কনটেন্ট রাইটারদের এক্সেক্স কম থাকে। তারা শুধু নতুন পোস্ট করতে পারবে এবং অন্য পোস্টের ভিউ দেখতে পারবে কিন্তু কোন রকম এডিট, ডিলিট করা এই জাতীয় কাজ পারবে না। Reader access অপশনটি Public করা থাকে। এটি এমন থাকতে দিন। 

Posts: পোস্ট সেকশনের অধীনে ৪টি অপশন পাবেন। "Max posts shown on main page" অপশনে ক্লিক করে আপনার হোমপেজে কতটি পোস্ট শো করাতে চান সেটি সিলেক্ট করতে হবে। হোমপেজে মোটামুটি ১০-১৫টি পোস্ট শো করানো ভালো। তবে বেশি পোস্ট শো করালে ওয়েবসাইট লোড নিতে টাইম নিবে। "Archive Frequency" অপশনটি Monthly সিলেক্ট করা থাকে এটা এভাবেই থাকতে দিন। 

Post template (optional) এখানে আপনি কোন লেখা লিখতে পারবেন যেটি প্রতিটি পোস্টে শো করবেন। ধরুন এখানে যদি আপনি "আসসসালামু আলাইকুম" লিখেন তবে আপনি নতুন পোস্ট ওপেন করার সাথে সাথেই এই লেখাটি দেখতে পাবেন। এটি ব্যবহার করে খুব একটা সুবিধা পাবেন না। 

Image lightbox এটি ব্লগার সেটিংসে অন করা থাকে। এটি অফ করলে আপনার কোন ছবিতে ভিজিটররা ক্লিক করলে আবার পোস্টে ফিরে আসতে go back বাটনে ক্লিক করা লাগবে যা বিরক্তিকর বটে। ফলে এটি অবশ্যই অন রাখবেন। 

Comments: এটি আপনার সাইটের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। তবে আমরা ছবির সাহায্যে এটির যে সেটিংস দেখিয়েছি আপনাকে ঠিক একইভাবে এইকাজগুলো করতে হবে। তবে আমাদের দেখানো কাজই কেন করবেন সেটির ব্যাখ্যাও দিচ্ছি।
ফ্রি ওয়েবসাইট খোলার নিয়ম, মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে, ওয়েবসাইট তৈরির খরচ, কিভাবে ফ্রি ওয়েবসাইট বানানো যায়, ওয়েবসাইট কিভাবে বানাবো, ই কমার্স ওয়েবসাইট, ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম, ওয়েবসাইট খোলার নিয়ম, ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট খুলে কিভাবে টাকা আয় করা যায়
এখানে আমরা কমেন্ট বক্স embedded করে রেখেছি। আপনি Comment Location সেকশনে ৪টি অপশন পাবেন। Full page ও pop up window অপশন দুইটি ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ এক্ষেত্রে আপনার সাইটের ভিজিটরদের কমেন্ট করতে অসুবিধা হবে। আর একটা সাইটের প্রাণই হচ্ছে তাদের ভিজিটর। ৪র্থ অপশনটি কমেন্ট হাইড করে রাখার জন্য। এটি ব্যবহার করলে আপনার সব পোস্টে কমেন্ট বক্স হাইড থাকবে। আমরা কমেন্ট বক্স Embedded অবস্থায় খোলা রাখার পরামর্শ দিবো। 

Who can comment এই অপশনটি Anyone করে দিলে যে কেউ কমেন্ট করতে পারবে। আর এটি এভাবেই থাকতে দেওয়া উচিত, এর কারণ Comment moderation সেকশনে Always সিলেক্ট করে রাখবেন। ফলে যে কেউ কমেন্ট করুক না কেন আপনার যাদের কমেন্ট ভালো লাগবে এপ্রুভ করতে পারবেন। 
ব্লগারে comment moderation অপশনটি কখনও never বা sometimes সিলেক্ট করবেন না। সেক্ষেত্রে যে কেউ ব্যাকলিংকের উদ্দেশ্যে কোন কারণ ছাড়াই শুধুমাত্র তার ওয়েবসাইটের লিংক কমেন্ট বক্সে কপি পেস্ট করে যাবে। এতে করে পরবর্তীতে যেকোনো সময় আপনার সাইটের স্প্যাম স্কোর বেড়ে যেতে পারে। 
আপনি যদি চান আপনার সাথে অন্য কেউ কমেন্ট এপ্রুভ করার পারমিশন পাবে তবে Email moderation request to এখানে তার ইমেইলটি এড করে দিবেন। Reader comment captcha এটি অন করা থাকে এবং এভাবেই থাকতে দিন। 

Comment from massage এখানে কোন কিছু লিখে রাখলে আপনার কমেন্ট বক্সের উপরে তা শো করবে। এখানে কিছু না লিখলেও চলবে। 
ফ্রি ওয়েবসাইট খোলার নিয়ম, মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে, ওয়েবসাইট তৈরির খরচ, কিভাবে ফ্রি ওয়েবসাইট বানানো যায়, ওয়েবসাইট কিভাবে বানাবো, ই কমার্স ওয়েবসাইট, ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম, ওয়েবসাইট খোলার নিয়ম, ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট খুলে কিভাবে টাকা আয় করা যায়
Email: আপনি যদি ইমেইলের মাধ্যমে ব্লগে পোস্ট করতে চান তবে ব্লগারে Post using email অপশনে আপনার ইমেইলটি দিয়ে দিবেন। তবে সংক্ষেপে এটার সম্পর্কে কিছু কথা বলে রাখি। Post using email-এ আপনি ক্লিক করার পরে তিনটি অপশন পাবেন। আপনাকে "Save emails as draft post" অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে। এখানে আপনি যে ইমেইল দিয়ে ব্লগটি খুলেছেন সেটির নাম দেখতে পাবেন; পাশে @blogger.com লেখা থাকবে। মাঝের secretwords এর জায়গায় আপনি যেকোনো শব্দ বা অক্ষর লিখে সেইভে ক্লিক করবেন। আপনার কাজ শেষ। 

এবার যেকোনো ইমেইল দিয়ে আপনি একটি পোস্ট লিখবেন। এক্ষেত্রে আপনার ইমেইলের সাবজেক্ট এর জায়গায় পোস্টের টাইটেল দিবেন এবং যেখানে পোস্ট শেষ হয়েছে সেখানে #end এভাবে লিখবেন। আর ইমেইলটি "Save emails as draft post" অপশনে যেভাবে সেইভ করেছেন সেখানে সেন্ড করবেন। যেমনঃ "username.[secretword]@blogger.com" এই ঠিকানায়। পোস্টে কোন ছবি যুক্ত করতে চাইলে সেটি ইমেইলের সাথেই এটাচ করে দিবেন।

Comment notification email - এখানে যদি চান আপনি কারো ইমেইল যুক্ত করে দিতে পারবেন ফলে পোস্টে কমেন্ট করলে তার কাছে নোটিফিকেশন যাবে। বাকি অপশনগুলো এগুলোরই সাব অপশন হিসেবে কাজ করে। Email posts to অপশনটি কাজ করবে যখন Post using email অপশনটি ব্যবহার করবেন। 
Formatting: এখানে বেশি কিছু বলার নেই। এই সেকশনে আপনি পোস্টের উপর কিভাবে টাইম শো করাতে চান সেটি দিয়ে দিবেন। তবে "Time zone" এ অবশ্যই ঢাকা সিলেক্ট করবেন। (GMT+06:00)
ফ্রি ওয়েবসাইট খোলার নিয়ম, মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে, ওয়েবসাইট তৈরির খরচ, কিভাবে ফ্রি ওয়েবসাইট বানানো যায়, ওয়েবসাইট কিভাবে বানাবো, ই কমার্স ওয়েবসাইট, ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম, ওয়েবসাইট খোলার নিয়ম, ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট খুলে কিভাবে টাকা আয় করা যায়
Meta tags: এটি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে অনেকে এসইও বলতে বুঝে থাকেন মেটা ট্যাগে হাজারটা কিওয়ার্ড দিয়ে রাখবেন আর কাজ হয়ে যাবে। কিন্তু মোটেও এতে কাজ হবে না। গুগল আপনার মেটা ট্যাগ দেখেই সাইটকে র‍্যাংক করাবে না। তবে এটার ভালো ব্যবহার অবশ্যই করবেন। "Enable search description" অফ করা থাকে আপনি এটি অন করে দিবেন। ফলে ব্লগে আপনি কোন পোস্ট লিখার সময় সেখানে "search description" শো করবে এবং ১৫০ শব্দের মধ্যে আপনার পোস্টের সামারি লিখবেন। আর এখানে যে "Search description" দেখতে পাচ্ছেন এটায় ১৫০ শব্দের মধ্যে আপনার সাইটের সামারি দিবেন এবং চেষ্টা করবেন মেইন কিওয়ার্ডগুলো দেওয়ার জন্য। তবে বাংলায় দেওয়ার ক্ষেত্রে ৫৬ শব্দের মধ্যে দিতে হয়। 

Errors and redirects: ব্লগারের এই সেকশনের তেমন কোন কাজ নেই। সাধারণত অনেক পুরনো বা ডিলিট করা পোস্টের ক্ষেত্রে Custom redirects অপশনটি কাজে লাগে। তবে Custom 404 অপশনে কোন কাজ করার প্রয়োজন নেই। চাইলে এখানে কোন ম্যাসেজ লিখে দিতে পারবেন। সেটি আপনার 404 পেজে শো করবে। 

Crawlers and indexing: আসছি সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশে। ব্লগার ওয়েবসাইটের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। আর এটি সংক্ষেপে বললে আপনার অনেক গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট মিস হয়ে যাবে। এখানে মূলত দুইটি দরকারি কাজ করতে হয়। আমরা পূর্বে গুগল ইনডেক্স সমস্যাগুগলে কিভাবে সাইটম্যাপ সাবমিট করতে হয় সেটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। অনুগ্রহ করে পূর্বের শেয়ার করা পোস্ট দুইটি অবশ্যই পড়ে নিবেন। তাছাড়া  গুগল ইনডেক্স সমস্যা পোস্টে আপনি কোন অপশনটি কি সিলেক্ট করবেন তার অ্যান্দোপান্ত শেয়ার করেছি। 
Monetization: আপনি ব্লগে এডসেন্স এপ্রুভাল পাওয়ার পর Enable custom ads.txt টি অন করে দিবেন এবং Custom ads.txt অংশে এডসেন্স ড্যাশবোর্ড থেকে দেওয়া কোডটি বসাবেন। 

Manage blog: ব্লগস্পটে আমরা কোন থিম সেইভ করার পর ডেমো পোস্ট দিয়ে সাইটটি কেমন দেখায় টা দেখতে চাই। এটার Import content সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। আপনি চাইলে এখানে কনটেন্ট ইম্পোর্ট করে ব্লগার ওয়েবসাইটের একটা ডেমো দেখতে পাবেন। এখানের Remove ব্লগে ক্লিক করে আপনি ব্লগটি রিমুভ করে দিতে পারবেন। রিমুভ করে দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে আপনি আবার ব্লগটি ফিরিয়ে আনতে পারবেন তাছাড়া রিমুভ করার পর এটার লিংক দিয়ে নতুন ব্লগ খোলা যাবে। 

Site feed: সাইট ফিডে আপনার করার মত তেমন কিছু নেই। এখানে যেমন সেটিংস থাকে ঠিক তেমনভাবেই রাখবেন কোনোরূপ পরিবর্তন করার প্রয়োজন নেই। 

General: এখানেও তেমন কাজ নেই। আপনার ব্লগের প্রোফাইল পিকচার ও প্রোফাইল নাম এডিট করতে User draft অপশনটি ব্যবহার করবেন। 

ওয়েবসাইট খুলে কিভাবে টাকা আয় করা যায়

সবারই ওয়েবসাইট খোলার বিভিন্ন উদ্দেশ্য থাকে। আপনার উদ্দেশ্য হতে পারে নিজের অবসর সময়ে একটু লেখালেখি করা। তবে এর জন্য অবশ্যই আপনাকে সৎ ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যেতে হবে। অন্য ওয়েবসাইট থেকে লেখা চুরি করে কেউ বড় কোন পরিচিতি পায়না। আপনি যদি নিজের ইউনিক লেখা ব্লগে নিয়মিত পোস্ট করেন তবে আপনার জন্য আয়ের হাজার রাস্তা খোলা রয়েছে। সেগুলো নিয়েই আমরা বিস্তারিত জানবো। তবে এখানে সংক্ষেপে ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করার কিছু উপায় বলে দিচ্ছি। 

১। গুগল এডসেন্স থেকে আয়ঃ সততা ও উচ্চ ক্লিক রেটের কারণে পুরো বিশ্ব জুড়ে গুগল এডসেন্সের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাছাড়া বর্তমানে গুগল বাংলা আর্টিকেলে এডসেন্স দেওয়াতে বাংলাদেশেও গুগল এডসেন্সের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ইতোপূর্বে আমরা ২১ দিনে গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় নিয়ে চমৎকার পোস্ট শেয়ার করেছি। আমাদের এই লেখাটি পড়ে এখন পর্যন্ত অনেকেই এডসেন্স পেয়েছে। 

২। মিডিয়া ডট নেট থেকে আয়ঃ এটি বিং পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। তবে ইয়াহু যেহেতু বিংয়ের সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে ফলে ইয়াহুও এর সাথে জড়িত। গুগল এডসেন্সের পর বিশ্বের বৃহত্তম এড নেটওয়ার্ক হলো মিডিয়া ডট নেট। তবে বাংলা কনটেন্টের ক্ষেত্রে মিডিয়া ডট নেটের অনুমোদন পাওয়া যায় না। কারণ তাদের চাহিদা অনুযায়ী বেশিরভাগ ট্রাফিক আমেরিকা থেকে আসতে হবে। তবে গুগলে এডসেন্সের চেয়ে মিডিয়া ডট নেটে আয় আরও বেশি। 
আমরা এই পোস্টের সংক্ষেপে এই দুইটি এড নেটওয়ার্ক নিয়ে আলোচনা করবো। কারণ বাকি এড নেটওয়ার্কগুলোর চাহিদা আরও বেশি। আপনি নতুন ব্লগার হয়ে থাকলে প্রথমে গুগল এডসেন্সের দিকেই মনোযোগ দিন। 

পর্যালোচনাঃ আমরা ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করার সব প্রক্রিয়া সম্পর্কে আপনাকে অবগত করেছি। তবে আপনি নতুন হলে যেকোনো সমস্যার সম্মুখীন হওয়াটা স্বাভাবিক। মনে রাখবেন সমস্যা থাকলে সমাধান বের হবেই। তাছাড়া আপনার যেকোনো জিজ্ঞাসা বা পরামর্শ কমেন্টে জানাবেন। 
সবার সাথে শেয়ার করুন
এই পোস্টে 7 জন কমেন্ট করেছেন
  1. অনেক বিস্তারিত বলেছেন। খুবই ভালো লাগলো ভাই।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. আমাদের ওয়েবসাইট এর আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন ভাইয়া।

      মুছুন
  2. নামহীন২৯ মার্চ

    আপনার লেখাটা পড়ে খুব ভাল লাগল। আমি একদম নতুন কিন্তু একটি ওয়বসাইট খুলতে চাই শুধুমাত্র পারিবারিক ইতিহাস লেখালেখি এবং নিজে অবসরে কিছু লেখালেখি করার জন্য।
    তবে ওয়েবসাইট খুলতে গিয়ে সমস্যা হলে কিভাবে আপনার সাহায্য পেতে পারি জানবেন কি?

    উত্তরমুছুন
  3. আপনি যে থিম ব্যবহার করছেন সেই থিম কি দেওয়া যাবে?

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. এই থিম পেতে "পটেনশিয়াল আইটি" এর সাথে যোগাযোগ করুন।

      মুছুন

এডমিশন টিউন কী?